ফকির ইলিয়াস
হুমায়ুন আজাদের কবিতায় সাহসের চন্দ্ররেখা
তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল একবারই। নিউইয়র্কে। তবে সে আড্ডা দীর্ঘ ছিল। কয়েকদিনের ধারাবাহিক আলাপচারিতা। ২০০২ সালে মুক্তধারা আয়োজিত নিউইয়র্ক বইমেলা উদ্বোধন করেন ড. হুমায়ুন আজাদ। এ সময়ে বইমেলা উপলক্ষে তার নিউইয়র্কে অবস্থান আমাদের মতো সাহিত্যকর্মীদের জন্য ছিল বাড়তি পাওনা। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম-আপনাকে কবিতা লিখতে হলো কেন? বলেছিলেন-
‘আমি আমার পক্ষীকুলকে ভালোবাসি বলে। আমি আমার নদীগুলোকে ভালোবাসি বলে।’
জানতে চেয়েছিলাম, আপনি কেন অন্যদের সময়ে বেঁচে আছেন? বলেছিলেন-‘এর উত্তর আরো বিশ বছর পর জানতে পারবে।’ না-আমাদের বিশ বছর সময় লাগেনি। এর আগেই জঙ্গি খুনিরা তার ওপর হামলে পড়েছিল।
হুমায়ুন আজাদের প্রথম কবিতার বই ‘অলৌকিক ইস্টিমার’ ১৯৭৩ সালে। এরপর তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো-জ্বলো চিতাবাঘ (১৯৮০), সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে (১৯৮৫), যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল (১৯৮৭), আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে (১৯৮০), কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু’ (১৯৯৮), পেরোনোর কিছু নেই (২০০৪)।
হুমায়ুন আজাদ এমন কিছু কবিতার জনক, যা সমগ্র বাঙালি জাতিকে নাড়া দিয়ে যায়। কেন নাড়া দেয়? পড়া যাক এমন একটি কবিতা-
ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা।
ভালো থেকো পাখি, সবুজ পাতারা।
ভালো থেকো।
........
ভালো থেকো চর, ছোট কুড়ে ঘর, ভালো থেকো।
ভালো থেকো চিল, আকাশের নীল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো পাতা, নিশির শিশির।
ভালো থেকো জল, নদীটির তীর।
ভালো থেকো গাছ, পুকুরের মাছ, ভালো থেকো।
ভালো থেকো কাক, কুহুকের ডাক, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মাঠ, রাখালের বাঁশি।
ভালো থেকো লাউ, কুমড়োর হাসি।
ভালো থেকো আম, ছায়া ঢাকা গ্রাম, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ঘাস, ভোরের বাতাস, ভালো থেকো।
ভালো থেকো রোদ, মাঘের কোকিল,
ভালো থেকো বক, আঁড়িয়ল বিল,
ভালো থেকো নাও, মধুমতি গাও, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা, ভালো থেকো।
ভালো থেকো, ভালো থেকো, ভালো থেকো।
[ভালো থেকো]
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা থেকে যখন এ উপমহাদেশের মানুষ মুক্তির অপেক্ষায়, ঠিক তার আগ মুহূর্তে, কবি হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাড়িখাল গ্রামে। তিনি বড় হয়েছেন রাড়িখালের প্রকৃতির সান্নিধ্যে। জীবনে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যখন সত্যকে বাস্তবতার আয়নায় উপলব্ধি করতে শিখেছেন-ঠিক তখন থেকেই তিনি বর্জন করেছিলেন এই তথাকথিত সমাজব্যবস্থার সব আঁধার।
হাজার বছর ধরে ব্যাপকভাবে মহামারী আকারে প্রচলিত চিরাচরিত সব প্রথা ও বিশ্বাসের ভিত্তিকে তিনি গ্রহণ করেননি। জীবন, জগৎ ও মানুষকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন স্বাধীনচেতা মানবতাবাদী হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক হয়ে নিজের মধ্যে জন্ম দিয়েছিলেন প্রগতিমুখী মুক্তচিন্তার নিজস্ব দর্শনের।
তিনি অনুধাবন করেছিলেন, তিনি কীভাবে বেঁচে আছেন একটি চরম রাহুগ্রস্ত অন্যদের সময়ে। কী সেই সময়? কারা নিয়েছিল এর দখল? শোনা যাক তার জবানিতে-
‘আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।
আমার খাদ্যে ছিল অন্যদের আঙুলের দাগ,
আমার পানীয়তে ছিল অন্যদের জীবাণু,
আমার বিশ্বাসে ছিল অন্যদের ব্যাপক দূষণ।
আমি জন্মেছিলাম আমি বেড়ে উঠেছিলাম
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।
আমি দাঁড়াতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো,
আমি হাঁটতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো,
আমি পোশাক পরতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো ক’রে,
আমি চুল আঁচড়াতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো ক’রে,
আমি কথা বলতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো।
তারা আমাকে তাদের মতো করে দাঁড়াতে শিখিয়েছিল,
তারা আমাকে তাদের মতো করে হাঁটার আদেশ দিয়েছিল,
তারা আমাকে তাদের মতো করে পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছিল,
তারা আমাকে বাধ্য করেছিল তাদের মতো করে চুল আঁচড়াতে,
তারা আমার মুখে গুঁজে দিয়েছিল তাদের দূষিত কথামালা।’
দীর্ঘ এই কবিতাটি তিনি শেষ করেছেন এই বলে-
‘আমার হৃদয় যা নিবেদন করতে চেয়েছিল, তা নিবেদন করতে পারেনি।
তখনো আমার সময় আসেনি।
আমার কর্ণকুহর যে-সুর শুনতে চেয়েছিল, তা শুনতে পায়নি।
তখনো আমার সময় আসেনি।
আমার ত্বক যার ছোঁয়া পেতে চেয়েছিল, তার ছোঁয়া পায়নি।
তখনো আমার সময় আসেনি।
আমি যে পৃথিবীকে চেয়েছিলাম, তাকে আমি পাইনি।
তখনো আমার সময় আসেনি। তখনো আমার সময় আসেনি।
আমি বেঁচে ছিলাম
অন্যদের সময়ে।’
হুমায়ুন আজাদ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। অসম সমাজব্যবস্থা, তার মননে আলোড়ন তুলেছে। হুমায়ুন আজাদ ‘সমাজচিত্র’ কবিতায় বন্দি করেন এভাবে :
‘বাঙলার মাটিতে কেমন হচ্ছে রক্তপাত প্রতিদিন
প্রতিটি পথিক কিছু রক্ত রেখে যাচ্ছে ব্লাডব্যাংকে
বাঙলার মাটিতে জমা রাখে ভবিষ্যৎ ভেবে
বাঙলার সব রক্ত তীব্রভাবে মাটি অভিমুখী’।
[ব্লাড ব্যাংক]
তিনি মানুষকে সচেতন করার প্রয়াসী ছিলেন। ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইলের মানুষ তার কবিতায় উঠে এসেছে। মানুষের মনোভঙ্গি, স্মৃতি, দুঃখ-কষ্ট, যাপিত জীবন ঘিরে ছিল তার ব্যাপক আগ্রহ। তিনি মানুষের মধ্যে খুঁজে পেতে চেয়েছেন শুভ্রতা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সবুজ বনভূমি, উদার মানুষ ও নিসর্গের কাছে সমর্পিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামগ্রিক অবস্থা দেখে তিনি ছিলেন দ্রোহী।
আগাছা ছাড়াই, আল বাঁধি, জমি চষি, মই দিই,
বীজ বুনি, নিড়োই, দিনের পর
দিন চোখ ফেলে রাখি শুকনো আকাশের দিকে। ঘাম ঢালি
খেত ভ’রে, আসলে রক্ত ঢেলে দিই
নোনা পানিরূপে; অবশেষে মেঘ ও মাটির দয়া হলে
খেত জুড়ে জাগে প্রফুল্ল সবুজ কম্পন।
খরা, বৃষ্টি, ঝড়, ও একশো একটা উপদ্রব কেটে গেলে
প্রকৃতির কৃপা হ’লে একসময়
মুখ দেখতে পাই থোকাথোকা সোনালি শস্যের।
এত ঘামে, নিজেকে ধানের মতোই
সিদ্ধ করে, ফলাই সামান্য, যেনো একমুঠো, গরিব শস্য।
মূর্খ মানুষ, দূরে আছি, জানতে ইচ্ছে করে
দিনরাত লেফ-রাইট লেফ-রাইট করলে ক-মণ শস্য ফলে
এক গন্ডা জমিতে?
[তৃতীয় বিশ্বের একজন চাষির প্রশ্ন]
নান্দনিক বিবেচনায় তার কবিতা হয়ে উঠেছিল একেকটি মহৎ শিল্প। জীবনের সঙ্গে বিশ্বযাপনে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি লিখেছিলেন :
‘তোমাকে মিনতি করি কখনো তুমি
বাঙলাদেশের কথা তুলে কষ্ট দিয়ো না।
জানতে চেয়ো না তুমি নষ্টভ্রষ্ট ছাপ্পান্নো
হাজার বগর্মাইলের কথা; তার রাজনীতি,
অথর্নীতি, ধর্ম, পাপ, মিথ্যাচার, পালে পালে
মনুষ্যম-লী, জীবনযাপন, হত্যা, ধর্ষণ,
মধ্যযুগের দিকে অন্ধের মতোন যাত্রা সম্পর্কে
প্রশ্ন ক’রে আমাকে পীড়ন কোরো না;
আমি তা মুহূর্তও সহ্য করতে পারি না,
-তার অনেক কারণ রয়েছে।
[বাঙলাদেশের কথা]
যে কবি চেতনার গহীনে লালন করেন দ্রোহ তিনি সেই কবি। হুমায়ুন আজাদ নিজের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। তিনি কবিতার আকাশকে স্পর্শ করেছেন গভীর স্পর্ধায়। যৌন-আকাক্সক্ষা, প্রেম ও প্রকৃতির কাছে নিজেকে খুলে দিয়েছেন নিজেকে। জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে একরৈখিকভাবে যুক্ত করেছেন নিজস্ব বিশ্বাস। স্পষ্ট ভাষণ, সত্য উচ্চারণ ও কুসংস্কারকে অস্বীকার করে সত্যের পথে এগিয়ে গেছেন সাহসের চন্দ্ররেখা পেরিয়ে। তিনি সব সময় মুখোশ উন্মোচন করেছেন অপরাজনীতিক ও ধর্মব্যবসায়ীদের। দূরে, কাছে, ভেতর-বাইরে যে রহস্যময়তার জাল বিছিয়ে একটি শ্রেণি মানুষের সঙ্গে প্রতারণায় ব্যস্ত-উন্মোচন করেছেন ওদের মুখোশ।
গরিবের সৌন্দর্য তিনি বর্ণনা করেছেন এভাবে-
গরিবেরা সাধারণত সুন্দর হয় না।
গরিবদের কথা মনে হ’লে সৌন্দর্যের কথা মনে পড়ে না কখনো।
গরিবদের ঘরবাড়ি খুবই নোংরা, অনেকের আবার ঘরবাড়িই নেই।
গরিবদের কাপড়চোপড় খুবই নোংরা, অনেকের আবার কাপড়চোপড়ই নেই।
গরিবেরা যখন হাঁটে তখন তাদের খুব কিম্ভূত দেখায়।
যখন গরিবেরা মাটি কাটে ইট ভাঙে খড় ঘাঁটে গাড়ি ঠেলে পিচ ঢালে তখন তাদের
সারা দেহে ঘাম জবজব করে, তখন তাদের খুব নোংরা আর কুৎসিত দেখায়।
গরিবদের খাওয়ার ভঙ্গি শিম্পাঞ্জির ভঙ্গির চেয়েও খারাপ।
অশ্লীল হাঁ ক’রে পাঁচ আঙ্গুলে মুঠো ভ’রে সবকিছু গিলে ফেলে তারা।
থুতু ফেলার সময় গরিবেরা এমনভাবে মুখ বিকৃত করে
যেনো মুখে সাতদিন ধ’রে পচছিল একটা নোংরা ইঁদুর।
গরিবদের ঘুমোনোর ভঙ্গি খুবই বিশ্রী।
গরিবেরা হাসতে গিয়ে হাসিটাকেই মাটি ক’রে ফেলে।
গান গাওয়ার সময়ও গরিবদের একটুও সুন্দর দেখায় না।
[গরীবের সৌন্দর্য]
এই কবি তার শেষ জীবনকালে একটি সামাজিক বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ লেখার পরে তাকে না না ভাবে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম-এই যে প্রকা- আঁধারের ভবিষ্যৎ কী? আমরা কি হেরে যাব?
তিনি হেসে বলেছিলেন, বাঙালি হারতে পারে না। আমি এই বিশ্বাস করেই যাচ্ছি। এই জাতি একদিন সব অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেই। তার কবিতায় তিনি যদিও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বড় বেদনার।
আমি জানি সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ
শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।
রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবিশংকরের
সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাঁথা ঠোঁটের আঙুর
ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল
কাশবন একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।
চলে যাবে সেই সব উপকথাঃ সৌন্দর্য-প্রতিভা-মেধা;
এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা
নির্বাধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে
অত্যন্ত উল্লাসভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।
[সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে]
তার হৃদয়ে একটি দ্রোহখচিত প্রেম লুকিয়ে ছিল সব সময়। তিনি যখন প্রেম কবিতা লিখতেন তখন মনে হতো না এই লোকটি এত কঠোর।
তুমি ভাঙতে পারো, বুক শুষে নিতে পারো সব রক্ত ও লবণ
বিষাক্ত করতে পারো ঘুম স্বপ্নময় ঘুমের জগৎ
তছনছ ক’রে দিতে পারো তুমি বন উপবন
উল্টেপাল্টে দিতে পারো সব সিঁড়ি লিফট্ রাজপথ
মিশিয়ে দিতেও পারো সংগীতের সুরেসুরে বিষ
আমাকে প্রগাঢ় কোনো আত্মহত্যায় উৎসাহিত ক’রে দিতে পারো
ম’রে যাবে ধানক্ষেত ঝ’রে যাবে পাখিদের শিস
তোমার ক্ষমতা আছে পারো তুমি আরো
আমাকে মাতাল ক’রে ছেড়ে দিতে পারো তুমি গলির ভেতরে
সমস্ত সড়কে তুমি জ্বালতে পারো লাল সিগন্যাল
বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ ক’রে দিতে পারো জীবনের সবগুলো ঘরে
এর বেশি আর তুমি কি পারো তমাল?
[তোমার ক্ষমতা]
হুমায়ুন আজাদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ষাটের বেশি। তার প্রকাশিত অন্যান্য বইয়ের মধ্যে আছে বাংলা ভাষা (প্রথম ও দ্বিতীয় খ-), ৫৬ হাজার বর্গমাইল, সবকিছু ভেঙে পড়ে, রাজনীতিবিদগণ, একটি খুনের স্বপ্ন, পাক সার জমিন সাদবাদ, রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা, নারী (নিষিদ্ধ ১৯৯৫), প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে, আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র, বাঙলা ভাষা (প্রথম ও দ্বিতীয় খ-), ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না। উপন্যাস, প্রবন্ধে তিনি দখল দেখিয়েছেন কৃতিত্বের সঙ্গে। তার সব লেখায় তিনি নিজস্ব স্বর তৈরি করে গিয়েছেন, যা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে বহুকাল। তাকে আমার শেষ প্রশ্নটি ছিল মৃত্যুচিন্তা নিয়ে। বলেছিলেন-এই ফুল-পাখি থাকবে। এই সুন্দরী রমণীর মুখ থাকবে। চুলের ঢেউয়ের মতো জেগে থাকবে প্রেমিকার চুম্বনমুখরিত রাত। অথচ আমি থাকব না! ভাবতে খুব কষ্ট হয়-ইলিয়াস!
না-তিনি আছেন। তিনি থাকবেন। যত দিন থাকবে বাংলা ভাষা, বাংলা কবিতা।
লেখক : গল্পকার
"