শামস আরেফিন

  ৩০ জুলাই, ২০১৮

সম্ভাবনার বাংলাদেশ থেকে উন্নত অর্থনীতির দেশ

একটি দেশের মানবসম্পদ দেশের উন্নতির ধারক ও বাহক। অতিরিক্ত জনসংখ্যা কখনো বোঝা হয় না, যদি তা জনসম্পদে সফলভাবে রূপান্তর করা যায়। আর দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তুলতে প্রয়োজন শিল্প খাতের চাহিদাভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষ জনবল। প্রয়োজন আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা। এই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিনিয়োগ করা হয়। আবার এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জীবিকার জন্য চাকরির সুব্যবস্থা করতে হয় দেশের সরকারকে। বিবিএসের তথ্যসূত্র অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটির ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম জনসংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০% বেকার। বাংলাদেশের প্রচুর সম্ভাবনা আছে, তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে উন্নত দেশে রূপান্তর হবে বাংলাদেশ-তাই এখন প্রশ্ন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ থেকে জানা যায়- দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ। যেখানে জাতীয় বেকারত্বের গড় ৪.২%। আর মোট বেকারত্বের ১১.২% শিক্ষিত। এর মধ্যে উচ্চশিক্ষিত বেকার ১৫.১%। এ পরিসংখ্যান প্রমাণ করে আমাদের প্রবৃদ্ধি অনুপাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না এবং জাতীয় উন্নয়নে প্রবৃদ্ধি এখনো স্থিতিশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেনি। তবে মোট জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের বৃদ্ধদের অনুপাতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। ইংরেজিতে এ সুবিধাকে বলা হয় ডেমোগ্রাফিক ডিভিড্যান্ড। এ জনসংখ্যাকে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে-তা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ভাবতে হবে। কারণ সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। শুধু বিসিএসকেন্দ্রিক পড়াশোনা বা সরকারি চাকরিকে জীবনের নিরাপত্তা হিসেবে অবলম্বন করে, কাজ না করে চাকরি করার মনমানসিকতা পরিহার করতে হবে। জাতির তরুণ প্রজন্ম যদি এ বিসিএস ম্যানিয়ায় পড়ে থাকে, সরকারি চাকরিনির্ভর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তবে প্রতি বছর আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে বেসরকারি খাতে ভারতীয়দের রাখতে হবে।

ভারতীয় নাগরিকদের ব্যাপারে অনেকেই বলছেন, দেশের নাগরিক থাকতে কেন বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ করতে হয়। অর্থাৎ দেশের নাগরিকরা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে পারছেন না বলেই গার্মেন্ট খাতে প্রচুর বিদেশি নাগরিকদের চাকরি দিতে হয়। পুষতে হয় বিশাল বেতন দিয়ে। অথচ আমরা জানি, এ দেশের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঠিকই মালিকরা বকেয়া করেন। অথচ এত বেতন দিয়ে পোষেন ভারতীয়দের। এ কথা যেমন সত্য, তেমনি এ দেশে অনেক ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান গার্মেন্ট মালিক রয়েছেন, যারা নিজ দেশের নাগরিক নিজেদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ করেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সত্য হলে আমাদের এ শিক্ষাব্যবস্থা ও বিসিএস এবং সরকারি চাকরির ম্যানিয়া আমাদের দক্ষজনসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখেনি। ভারতীয় চিকিৎসা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, প্রতি বছর এ দেশ থেকে প্রায় চিকিৎসা বাবদ পাঁচ হাজার কোটি টাকা আয় করে। আমরা যদি ভারতীয় রেমিট্যান্স ১০ বিলিয়ন ডলার, সীমান্ত কালোবাজারি ও এ ধরনের চিকিৎসাসেবা এবং ঈদ মার্কেটিং বিবেচনা করি, তবে আমাদের ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় তিন গুণ হবে। অথচ প্রতি বছর আমাদের রেমিট্যান্স আয় ১৫ থেকে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাশাপাশি গত বছর রফতানি আয় ছিল ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তারপরও কেন আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছাতে পারছি না। এর উত্তর হতে পারে- আমরা যেভাবে আয় করছি, তার সবটুকু আমরা দেশে রাখতে পারছি না। দেশ থেকে একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ আমদানি ব্যয়, রেমিট্যান্স হিসেবে ভারতে ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছি, তা যদি ধরে রাখতে পারতাম, বাংলাদেশ হতো দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর। কিন্তু আমরা দেখছি বাস্তবতা অন্য রকম। অথচ আমাদের যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, তা দিয়ে তিন মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় সহজেই পরিশোধ করা যাবে। বলা যায়, পাকিস্তানের মতো বা গ্রিসের মতো আমরা কখনো বেইলআউটের মুখোমুখি হচ্ছি না বিশ্বব্যাংকের কাছে। অথচ আমাদের রফতানি বাজার কয়েকটি পণ্যে সীমিত। শুধু এই অধিক জনসম্পদ যার প্রায় ৯৯ লাখ বিদেশে কর্মরত, আর এই শ্রমঘন শিল্প গার্মেন্ট আমাদের এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাহলে এক কথায় বলা যায়, আমাদের এ বিশাল জনসংখ্যাই আমাদের সম্পদ। আর এ জনসম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে সম্ভাবনার বাংলাদেশের ১০০% সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব।

১৯৭৩-৭৮ সালে বঙ্গবন্ধু প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দ্বিতীয় অধ্যায়ে উদ্দেশ্যগুলো বর্ণনা করে বলেন-দারিদ্র্যবিমোচন, কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আমদানি বিকল্প শিল্প গড়ে তোলা ও বহুমুখী রফতানিবাণিজ্যনির্ভর হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা। অবাক হওয়ার বিষয় আজ থেকে প্রায় ৫ দশক আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন, আমরা এখনো এসব অর্জনের পেছনে ছুটছি। বর্তমানে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় জাতিসংঘের তথ্য মতে ১২৭৪, অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিরসনে আমরা ২৫.২ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে ৭৩.২ পয়েন্ট নিয়ে যথেষ্ট এগিয়ে। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় নিঃসন্দেহে ভূমিকা রেখেছে ৭%-এর ওপর প্রবৃদ্ধি ও বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩.২৫% ও সরকারের বিনিয়োগ সহায়ক ভূমিকা। বিশেষত আমাদের যেকোনো নীতির বছর বছর পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়, অন্তত তা থেকে এবার ব্যবসায়ীরা মুক্তি পেয়েছে। তাই বলা যায়, দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজন নীতিগত স্থিতিশীলতা ও আর্থিক প্রণোদনা। আর তা না হলে কোনো সম্ভাবনাকেই কাজে লাগানো সম্ভবপর নয়। বর্তমান সরকার বিনিয়োগবান্ধব সরকার। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এ বিনিয়োগবান্ধব প্রবণতাও ধরে রাখতে হবে, কাজে লাগাতে হবে জনসম্পদকে। এ জনসম্পদই বাংলাদেশের সম্ভাবনা।

অর্থনীতিবিদ ওয়াল্ট রসটোর মতে, একটি দেশে যখন টেক অব স্টেজ বা উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়ে যায়, তখন সে দেশের উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি সাবলীল পর্যায়ে থাকে। আর এ স্তরে পৌঁছানোর পর একটি দেশ ৫০-১০০ বছরের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর হয়। তখন উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে ১০% হয়। দেশে অনেকগুলো রফতানিনির্ভর শিল্প গড়ে ওঠে। অবশেষে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করে। এ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি গত কয়েক বছর ৭%-এরও বেশি অর্থাৎ আমাদের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল। রফতানির ক্ষেত্রে আমরা কৃষিনির্ভর শিল্প ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য দেশ-বিদেশে বিক্রয় করছি, দেশে এখন উৎপাদিত হচ্ছে ল্যাপটপ ও মোবাইল। এর ওপর নির্ভর করে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮% প্রবৃদ্ধিসহ আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই আশা করতেই পারি আগামী ৫০ বছরে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন অলীক নয়। তা ছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অবদান যেহেতু বর্তমান বাজার মূল্যে জিডিপির ১৮.৩৪%, তাই সৎ সাহস নিয়ে বলতে পারি বাংলাদেশ এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছে। আর এতে সহজে অনুমেয় যে, বাংলাদেশ এখনো টেক অব স্টেজে রয়েছে। তবে এ অগ্রযাত্রা ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাহত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা খেলাপি ঋণ আদায় করতে পারব কিংবা দেশ থেকে অর্থপাচার রোধ করতে পারব। সুইস ব্যাংক বাংলাদেশের সরকার চুক্তির আওতায় দেশের পাচার হওয়া সম্পদ পাকিস্তান ও ভারতের মতো দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। বরং আরো জোর দিয়ে বলতে পারি, বর্তমান বাজেটে যেভাবে আমদানি বিকল্প শিল্প গড়ে তুলতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, টায়ার প্রস্তুত, ওষুধশিল্পের বিকাশে কাঁচামাল এপিআই আমদানিতে ছাড়, মোটরসাইকেল উৎপাদনে আর্থিক ও নীতিগত প্রণোদনা ও ব্যাংকঋণের সুদের হার হ্রাসের প্রচেষ্টা আগামীর সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

কিন্তু বাংলাদেশে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে বিশাল ফারাক থেকে যায়। প্রতি বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রথম দশ মাস স্থবিরতা থাকে। শেষে দুই মাসে তড়িগড়ি করে কর্মসূচির প্রায় ৯০ শতাংশ বাস্তবায়ন দেখানো হয়। কাটছাঁট করে প্রকল্প সংখ্যা কমিয়ে বাস্তবায়নের হার বেশি দেখানোর প্রবণতা লক্ষ করা যায়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাস্তবায়ন হয় বরাদ্দের ৮৯.৭৬%। অথচ এই এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়ানো ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো নিশ্চিত করা গেলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো তৈরিতে এক ধরনের দুরবস্থা লক্ষ করা যায়। যেমন : বর্তমান অর্থমন্ত্রী বললেন, বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ২৩.২৫% থেকে ২৫.১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রাকে নিয়ে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিতে ১% বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজন অতিরিক্ত ২৫ হাজার কোটি টাকা। যদি করপোরেট করহার হ্রাস না করা হয়, তবে কীভাবে এত বিনিয়োগ সৃষ্টি হবে, তার কোনো ব্যাখ্যা মন্ত্রী মহোদয়কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেননি। আর আশা করি, এ রাজস্ব বোর্ড দেবে কি না-তারাই তা ভালো জানে। তাই সম্ভাবনার এ বাংলাদেশকে কাক্সিক্ষত রূপে দেখতে হলে আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে যে ফারাক তা হ্রাস করতে হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সম্ভাবনার বাংলাদেশে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে-সম্ভাবনাকে বুঝতে হলে সময় দিতে হবে সরকারি আমলাদের। সময় দিতে হবে দেশের জনগণের। গড়ে তুলতে হবে দেশের দক্ষ জনসম্পদ। চাকরি নয় বিশেষত সরকারি চাকরি নয় বরং কাজ করে খাওয়ার মন মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে তথাকথিত এ মধ্যবিত্ত সমাজকে। শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে হবে। তবে দারিদ্র্যবিমোচন, কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও বহুমুখী রফতানি বাণিজ্যনির্ভর হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। কারণ উন্নয়ন যখন অংশগ্রহণমূলক হয়, তখন তা টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। যে উন্নয়ন অংশগ্রহণমূলক নয়, যে উন্নয়ন দারিদ্র্যবিমোচন বৈষম্য ও কর্মসংস্থানকে প্রভাবিত করে না, তা প্রকৃতপক্ষে কোনো উন্নয়ন নয়। আর তাই উন্নয়ন চিন্তক ডাডলি সিয়ারের মতো বলতে হয়-দারিদ্র্যবিমোচন বৈষম্য ও কর্মসংস্থানকে প্রভাবিত করে যে উন্নয়ন, এমন নৈর্ব্যক্তিক উন্নয়ন কখনো আমাদের কাম্য না। কারণ বঙ্গবন্ধু নিজেও বলেছেন, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে, যদি এ বাংলার মানুষ খেতে না পায়, যুবকরা না পায় কর্মসংস্থান ও মা-বোনদের কাপড় দেওয়া না যায়। আর এসবই নিশ্চিত করতে প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন। কারণ আমাদের চিন্তার পরিবর্তনই আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। সম্ভাবনার বাংলাদেশ চিরকাল ছিল আছে এবং থাকবে। তবে তাকে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে আমাদের পরিশ্রম করার মতো মানসিক উন্নয়ন। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলা। তবেই সম্ভাবনার বাংলাদেশ থেকে আমরা ও উন্নত অর্থনীতির দেশ বা উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর হতে পারব।

লেখক : কবি ও গবেষক

ংযধসংধৎধভরহ০৫২@মসধরষ.পড়স

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist