সতীর্থ রহমান

  ২৫ মে, ২০১৭

প্রাথমিক স্তরে ডায়রি লেখা বাধ্যতামূলক করা হোক

প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ডায়রি লেখার অভ্যাস গঠন যুগান্তকারী অবদান রাখতে পারে। ডায়রি লেখার অনুশীলন করা হলে শিক্ষার্থীরা বর্ণ সাজিয়ে নিত্যনতুন শব্দ ও বাক্য গঠন করতে উৎসাহী হবে। বানান ও উচ্চারণের পাশাপাশি বিরাম চিহ্নের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হবে। ডায়রি লেখা বাধ্যতামূলক করা হলে শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন ঘটনাপ্রবাহ, প্রকৃতি ও পরিবেশ পরিস্থিতি, আবহাওয়ার পরিবর্তন, সামাজিক সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুধাবন করতে আগ্রহী হবে। শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে চিন্তা ও মতপ্রকাশের অবারিত সুযোগ পাবে।

লেখা একটি প্রকৃতি প্রদত্ত শিল্প। শিশু শিক্ষার্থীদের এই বিরল শিল্পক্ষমতার অধিকারী হতে সহায়তা করা উচিত। লেখাটা হলো মানুষের সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন। লেখনীর মাধ্যমে মানুষ তার হৃদয়ের আবেগ অনুভূতি, দুঃখ-কষ্ট ও সুখ-স্বপ্নের কথা প্রকাশ করতে পারে। দিনাজপুর সদর উপজেলার প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, জিনিয়াসরা লিখতে পারে, বুদ্ধিমানরা নয়। প্রাইমারি স্কুলশিক্ষিকা লাবণ্য সাহার মতে, ‘সবার মাঝেই কিছু দর্শন আছে। কেউ প্রকাশ করতে পারে কিন্তু অনেকেই পারে না।’ পড়া সহজ, লেখা কঠিন। কেউ কেউ বলেন, এক পাতা লিখতে গেলে একশ’ পাতা পড়তে হয়। লেখা প্রসঙ্গে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত উক্তি- ‘রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা/তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, ‘সহজ করে লিখতে আমায় কহ যে/সহজ করে যায় না লেখা সহজে।’

ডায়রি সবসময় লিখিত হয়ে থাকে। অলিখিত কোনোকিছু ডায়রি হয় না। ডায়রি দৃশ্যমান বস্তু। ব্যক্তিগত ডায়রি অমূল্য সম্পদও বটে। ডায়রির লিখিত রূপ হাজার হাজার বছর ধরে টিকে থাকতে পারে। কথা তরঙ্গে হারিয়ে যায় কিন্তু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না। তবে মানুষের অগোচরে চলে যায়। সবাই বলতে পারে কিন্তু লিখতে পারে ক’জন? একজন মূর্খ মানুষও অনর্গল বকবক করতে পারে।

ব্যক্তিগত ডায়রিতে দৈনন্দিন ঘটনা লেখা হয়। ডায়রিতে সমকালীন সমাজব্যবস্থা, ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিত্র ফুটে ওঠে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাচক্র শেষ করার পরও দেখা যায়, বহু শিক্ষার্থী ভালোভাবে পড়া ও লেখার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। এমনও দেখা যায়, নিজের নাম-ঠিকানা লিখতেও তারা ভুল করে। অনেকেই পেপার পত্রিকা পড়ে অর্থ বুঝতে পারে না। বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ হিসেবে হাতের লেখা (বাংলা ও ইংরেজি) আনতে বলা হয়। হাতের লেখার পাশাপাশি ডায়রি লেখার প্রচলন করা হলে শিক্ষার্থীদের হাতের লেখার সৌন্দর্য এবং সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।

প্রজেক্ট খাতা হল এক একটি প্রজেক্টের জন্য নির্ধারিত ডায়রি বা দিনলিপি বিশেষ। প্রতিটি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের পৃথক পৃথক প্রজেক্ট খাতা রাখা একটি বাধ্যতামূলক কাজ। প্রজেক্ট খাতায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তারিখ ও বার অনুযায়ী নোট লিপিবদ্ধ করবেন। যেমন: এই খাতায় থাকবে-প্রজেক্টের বিষয়, প্রজেক্টের উদ্দেশ্য, সময়ের তালিকা, নিজস্ব গ্রুপের বা দলের নাম, দলের কোনো প্রতীক, প্রতিটি কাজের মূল্যায়ন, প্রতিটি কাজের লক্ষ্যণীয় বিষয়ের সমাধান, এ প্রসঙ্গে সংগৃহীত ডাটা, ছবি, নমুনা, পেপার কাটিং বা অন্যান্য যেকোনো কিছু, ১৫ দিন অন্তর অন্তর আলোচনার সার-সংক্ষেপ এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন ছক। প্রজেক্টটি উপস্থাপনের তারিখ ও দিন উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা ওই দিনের কিছু কিছু অভিজ্ঞতাও লিখে রাখতে পারে।

এই খাতাটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব সৃজনশীলতার আর একটি নমুনা। তাই দামি খাতা কিনে নয়, নিজের হাতে, কাগজ দিয়ে খাতা বানাতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করুন। তাদের রুচি ও ক্ষমতা অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন ও আকর্ষণীয়ভাবে খাতাটি তৈরি করতে ও সংরক্ষণ করতে বলুন। শিক্ষকরাও প্রজেক্ট খাতা ব্যবহার ও সংরক্ষণ করুন। কি কি পদক্ষেপ নিলেন, প্রতিটি কাজে কোন দল কেমন করছে, পাঠ্যসূচিতে তা কি প্রভাব ফেলছে, কি কি উপকার/অপকার হচ্ছে প্রভৃতি নোট রাখুন। সূত্র: প্রজেক্ট বই-প্রাথমিক শিক্ষক সহায়িকা।

ডায়রি লেখার মাধ্যমে শিশুশিক্ষার্থীরা সাহিত্য চর্চার অবাধ সুযোগ পাবে। সমাজশাসিত ব্যক্তি মানুষের শব্দনির্মিত আলেখ্য হচ্ছে সাহিত্য। মানুষের সৃষ্টিশীলতা, তার ধারণক্ষমতা, গ্রহণশক্তি, মননশক্তি, কল্পনাপ্রবণতা, পরিবেশ সচেতনতা ইত্যাদির সমন্বয়েই গড়ে ওঠে সাহিত্যের জগৎ। সাহিত্য সে অর্থে সমাজের কথা, সামাজিক মানুষের ইতিবৃত্ত।

ডায়রি লেখার কলাকৌশল রপ্ত করতে শিখলে শিক্ষার্থীরা অনায়াসে চিঠিপত্র লেখাপড়ায় সক্ষম হবে। মানবসভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পত্রলিখনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে। পত্র মানুষের মনের ভাব বিনিময়ের মাধ্যম। সরাসরি যখন মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না, তখন প্রয়োজন হয় পত্রের। পত্রের মাধ্যমে মনের ভাব লেখ্যরূপে অন্যের কাছে প্রকাশ করা যায়। মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের সঙ্গে তার সামাজিক, জাতীয়, রাজনৈতিক ও জাগতিক জীবনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। বর্তমান জগতে বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে সর্বদা ভাব ও সংবাদাদির বিনিময় একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়ায় দিনে দিনে পত্রালাপের আবশ্যকতাও অধিকতর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডায়রি লেখায় দক্ষতা অর্জন করলে শিক্ষার্থীরা রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর নিজেরাই বানিয়ে লিখতে সক্ষম হবে। পরীক্ষায় ফেলের হার কমে যাবে। প্রতিদিন লেখালেখির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গভীর জ্ঞান অন্বেষণে কর্মতৎপর হবে। তথ্য-তত্ত্বানুসন্ধান, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়, বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। শিশু মনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে ডায়রি লেখা অনবদ্য অবদান রাখতে পারে। শিক্ষার্থীদের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে বহুদিন। ব্যক্তিগত ডায়রি হতে পারে দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ। ডায়রি রচনা করে অনেকে বিখ্যাত হয়েছেন। বেগম সুফিয়া কামালের একাত্তরের ডায়রি, জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি, মীর মশাররফ হোসেনের দিনলিপি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাশিয়ার চিঠি, স্বামী বিবেকানন্দের পত্রাবলী আজ অমূল্য সম্পদ।

সাহিত্যের সঙ্গে সংযোগ নিবিড় হলে অনেক অজানাকে জানা যায়। কবিতা ইতিহাস ধারণ করে। কবিতা মুক্তির কথা বলে। লেখক-সাংবাদিকরা সমাজের চোখ। এ চোখ দিয়েই সরকার সমাজের অনেক ভেতর পর্যন্ত দেখতে পায়। মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে প্রযুক্তি এবং সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন বিকাশ মিডিয়ার মাধ্যমে হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার দায়িত্ব মিডিয়ার। জনগণের বাকস্বাধীনতা বিকাশে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। মিডিয়া সরকারসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সমালোচনা করে তাদের আরো সংশোধনের সুযোগ তৈরি করে দেয়। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব বিকাশে গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যমই পারে নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে যে প্রদীপ শিখাটি জ্বলতে থাকে তা হলো গণমাধ্যম। ইউনিসেফের সাবেক প্রেসিডেন্টের মতে, শিক্ষার একটি উচ্চতম লক্ষ্য আছে। লক্ষ্যটি হলো মধ্যস্থতা, দ্বন্দ্বের মোকাবেলা, শান্তি শিক্ষা এবং সহিষ্ণুতা শিক্ষার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান শেখানো সম্ভব। শান্তি শিক্ষা এমন শিক্ষা যা আমাদেরকে শান্তি রক্ষায় উৎসাহিত করে। সহনশীলতা বলতে সাধারণত কোনো প্রতিবাদ ছাড়া ধৈর্যের সাথে কাউকে সহ্য করার ক্ষমতা বা ইচ্ছাকে বোঝায়। দ্বন্দ্বের মোকাবেলা ও অসহিষ্ণুতা দূরীকরণের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষা চাবিকাঠি স্বরূপ। গবেষণা ও অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান শেখানো সম্ভব। কেউ একাকী শান্তির সংস্কৃতি আনতে পারে না। বিশ্বব্যাপী ঐক্যবদ্ধ সহায়তা দরকার এজন্য। একমাত্র ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসই শান্তির সংস্কৃতি আনতে পারে। যারা জ্ঞান ও বুদ্ধির চর্চা করেন তাদের বুদ্ধিজীবী বলা হয়। বুদ্ধিমানদের আমি পছন্দ করি। কারণ বুদ্ধি ছাড়া ভালো কিছু করা যায় না। ভালো কিছু করতে বুদ্ধি অপরিহার্য শর্ত। মানুষ সৃষ্টিশীল জীব। এই সৃজনশীলতাই মানুষকে পশু থেকে আলাদা করেছে। সৃষ্টিশীলতার জন্য মুক্ত অনুভূতি গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়রি লেখার ব্যাপারে আমার একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা আছে। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ডায়রি লেখার অভ্যাস গঠনের লক্ষ্যে আমি নুনসাহার প্রাইমারি স্কুলে এই যুগান্তকারী পদ্ধতি চালু করি। আমার এক বছরের শিক্ষকতা জীবনে এর সুদূরপ্রসারি প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ডায়রি লেখার ক্ষেত্রে আমি চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর মাতৃভাষা বাংলায় এই পদ্ধতি প্রয়োগ করি। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীরা ডায়রি লিখতে পারত না। পুরো এক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের ডায়রি লেখার মৌলিক নিয়মকানুন শেখানো হয়। যেমন বার ও তারিখ লেখা, বাক্য তৈরি, লেখার ধরন প্রকৃতি, শুদ্ধ বানানে লেখা এসব বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হয়। ক্লাসে ডায়রি লেখার ব্যাপারে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। কয়েকজন দুর্বল শিক্ষার্থী ডায়রি লিখতে অনীহা প্রকাশ করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সবার জন্য ডায়রি লেখা ছিল বাধ্যতামূলক বাড়ির কাজ। শিক্ষার্থীদের ডায়রি লেখার জন্য আলাদা খাতা ছিল। ডায়রি লেখার পাশাপাশি বাংলা হাতের লেখা খাতা আনার নিয়মও চালু ছিল। শিক্ষাবর্ষের শেষে দেখা যায়, ২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ডায়রি লেখার যোগ্যতা অর্জন করে। অত্যন্ত দুর্বল এবং চরম দারিদ্র্যের কারণে ৪ জন শিক্ষার্থী ডায়রি লেখার যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। বার্ষিক পরীক্ষার বাংলা খাতা পরীক্ষণের সময় দেখা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যেসব প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ লিখতে পারেনি তারা সেগুলো বানিয়ে বানিয়ে লেখার চেষ্টা করেছে। পরীক্ষার খাতায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভাবভাষা পড়ে অনেক সময় আমার হাসি পেয়েছে।

প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ডায়রি লেখার যোগ্যতা অর্জনকে একটি প্রান্তিক যোগ্যতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কারণ ডায়রি লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শোনা, বলা, পড়া, লেখা এই চারটি দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তিও বেড়ে যাবে। সমাজ ও সভ্যতা উন্নত হবে। মহাবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের ভাষায়, জ্ঞানের চেয়ে কল্পনাশক্তি বেশি প্রয়োজন। আইনস্টাইন খুব বড় মাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। সত্যি কথা বলতে কি, তিনি কত বড় বিজ্ঞানী সেটা বোঝার মতো বিজ্ঞানীও পৃথিবীতে খুব বেশি নেই। সেই আইনস্টাইন জ্ঞান থেকেও কল্পনাশক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তার নিশ্চয়ই একটি কারণ আছে। কারণটি সহজ, জ্ঞান অর্জন করা যায় কিন্তু কল্পনাশক্তি অর্জন করা যায় না। মানুষ কল্পনাশক্তি নিয়ে জন্মায়। সেই অমূল্য শক্তিকে খুব যতœ করে লালন করতে হয়, তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। পৃথিবীতে সবচেয়ে মহান কাজগুলো হয়েছে এই কল্পনাশক্তির কল্যাণে। ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে কল্পনাশক্তির দরকার। যাদের কল্পনাশক্তি নেই তাদের এই পৃথিবীকে দেয়ার কিছুই নেই। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সেই কল্পনাশক্তি এবং সৃজনশীলতাকে পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। সূত্র: আর মুখস্থ নয়-মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী শিক্ষার্থীরাই মেধাবী বলে বিবেচিত হয়। না বুঝে মুখস্থ করার কারণে শিশুর কল্পনাশক্তি লোপ পায়। মুখস্থ বিদ্যার চাপ কমিয়ে শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তি, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ, জ্ঞান, দক্ষতা ও ব্যবহারিক কলাকৌশল অর্জনের ওপর জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ডায়রি লেখা বাধ্যতামূলক করা হলে আর কিছু না হোক তারা ক্ষুদে সাংবাদিক, লেখক, গবেষক, সাহিত্যিক কিংবা কবি হয়ে গড়ে উঠবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

লেখক : শিক্ষক

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist