আব্দুল আলীম, নারায়ণগঞ্জ

  ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন

ভোট নিয়ে কর্মজীবী নারীদের ভাবনা

আর মাত্র ১৮দিন পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। সমাজের আর সব ভোটারের মতো ভোট নিয়ে ভাবছেন কর্মজীবী নারীরাও। আসন্ন সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে, পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর উন্নয়নে আরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করবেন এমনই প্রত্যাশা তাদের।

নারায়ণগঞ্জের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে। ফাতেমার দাবি, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়াতে হবে এবং নির্বাচনের পরে আমাদের নারীনেত্রীরা যেন নারীর উন্নয়নে আরও স্বতঃস্ফূর্তবাবে কাজ করেন।

সরকারি দল ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দেওয়ায় কোনো সমস্যা নেই বলে মনে করেন ইসলামী ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুই হবে। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা চলে গেলে কী ঘটে, সেটাতো আমরা আগেই দেখেছি। সরকার এবার আর ঝুঁকি না নিয়ে ভালো করেছে।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, বিএনপি ভোটে এসেছে, এটাই আশার কথা। এই নির্বাচনে অংশ না নিলে তো পাঁচ বছর পরে বিএনপির নাম-নিশানাও থাকবে না। দলটি এবার তাই সুবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে।

শিক্ষিকা আলেয়া খাতুন মনে করছেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে, ফের ক্ষমতায় এলে আরও উন্নয়ন ঘটবে। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যাবে।

কিছু আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। এই মেশিনে কারচুপির আশঙ্কা থাকবে না।

এদিকে দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের নিয়ে হতাশাও রয়েছে কর্মজীবী নারীদের মধ্যে। নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বেবি আক্তার বলেন, নির্বাচন হোক আর যাই হোক রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান নেই। যে দলই জিতুক না কেন, রাজনীতির গুণগত মানের কোনো পরিবর্তন হবে না। কারণ রাজনীতিবিদেরা সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না। যে দল ক্ষমতায় আসে, তারাই ক্ষমতা ধরে রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায়।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নারী মনে করেন, নির্বাচন আসবে, হরতাল, সংঘর্ষ, মারামারি, আগুন দেওয়া এসব হবে। রাজনীতি হলো ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতা। এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো যোগসূত্র নেই। যদি থাকত, তাহলে হরতাল হতো না, সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আসত না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close