গাজীপুর বারে বোমা হামলা : ৬ জঙ্গির ফাঁসি বহাল
গাজীপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৬ সদস্যের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। দুজনকে যাবজ্জীবন ও দুই জনকে খালাস দিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের দ্বৈত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জঙ্গিদের আপিল আবেদন আংশিক গ্রহণ করে এ রায় দেন। ২০১৩ সালের ২০ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর তৎকালীন বিচারক মো. মোতাহার হোসেন জেএমবির এ ১০ সদস্যের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে ৮ জনকে হত্যার দায়ে ১০ জেএমবি সদস্যকে পৃথকভাবে ৮ বার করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ ৬ জেএমবি সদস্য হলেন- এনায়তুল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ, আরিফুর রহমান ওরফে আকাশ, সাইদুর রহমান মুনসি, আবদুল্লাহ আল হোসাইন, নিজামুদ্দিন রেজা, তৈয়বুর রহমান। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- মসিদুল ইসলাম ও আদনান সামি। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-আশরাফুল ইসলাম ও শফিউল্লাহ। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় চার আইনজীবী আমজাদ হোসেন, গোলাম ফারুক, নুরুল হুদা ও আনোয়ারুল আজিমসহ ৮ জন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী আসাদ ওরফে জিয়াও ঘটনাস্থলে মারা যায়।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল চলতি বছরের ৫ মে শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। এরপর ১৩ জুলাই থেকে এ মামলার পেপার বুক পড়া শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২০ জুলাই আদালত মামলার রায়ের জন্য ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেন। সে হিসাবে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা ও আফজাল এইচ খান।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চার আইনজীবী আমজাদ হোসেন, গোলাম ফারুক, নুরুল হুদা ও আনোয়ারুল আজিমসহ ৮ জন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী আসাদ ওরফে জিয়াও ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় বোমা ও হত্যা মামলা দায়ের করে। ২০০৭ সালের ৪ জুলাই ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার ইসমাইল হোসেন এ অভিযোগপত্র দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ৭০ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করে।