চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইয়ে সক্রিয় ১২ হুন্ডি ব্যবসায়ী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হুন্ডি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন ১২ জন ব্যবসায়ী। তাদের একটি তালিকাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ১২ জনের বাহিরে আরো কয়েকজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীও মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের গতিবিধিও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে এ সব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবচেয়ে বড় হুন্ডি ব্যবসায়ী শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীহাটির তোজাম্মেল হক। তিনি আরো কয়েকজন সহযোগী নিয়ে উত্তরাঞ্চলে বিশাল এক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখিত আরো হুন্ডি ব্যবসায়ী হলেনÑচাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার প্রফেসরপাড়ার রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিক, কাঁঠালবাগিচা এলাকার মো. মিন্টু, পিটিআই মাস্টারপাড়ার মো. আনারুল, স্কুল-কলেজ রোডের গোলাম জাকারিয়া ভদ্র, বটতলাহাটের সাইফুল ইসলাম, কানসাটের আবু তালেব, পারচৌকা এলাকার মো. সাজু ও আশরাফুল ইসলাম। মুদ্রা পাচারে জড়িত সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে হাউসনগরের একরামুল হক, চৌকার মো. ফিরোজ, বাগডাঙ্গার টিপু সুলতান ও মাঝপাড়ার রুহুল আমিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে মূলত অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে। ভারতে অর্থ নিয়ে যাওয়ার জন্য নন-ব্যাংকিং চ্যানেল অর্থাৎ হুন্ডিকেই জনপ্রিয় উপায় মনে করা হয়। এ কারণেই এত বেশি হুন্ডি ব্যবসায়ী সক্রিয় এ জেলায়। সূত্রগুলো জানাচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভারতে টাকা পাঠানো যায়। এছাড়া ব্যবসায়ীরা আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থ পাচার করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কিছু মানুষ হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের ধরতে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। শিগগিরই তারা পুলিশের জালে ধরা পড়বে।