অবশেষে সানী-নাসরিনের সমঝোতা
অবশেষে সমঝোতা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য আরাফাত সানীর সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী স্ত্রী নাসরিন সুলতানার। তাদের মধ্যে সৃষ্ট সময়স্যার আপস-মীমাংসা হয়েছে। নারী নির্যাতন আইনের মামলায় আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে এই মর্মে একটি আপসনামা দাখিল করে উভয় পক্ষ। এরপর বিচারক ওই মামলায় আরাফাত সানীর জামিন স্থায়ী করেন। আপসনামায় বলা হয়, আমরা ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর ৪ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হই। যা এখন বেড়ে ১০ লাখ টাকা হবে এবং অদ্য সোমবার পুনরায় বিবাহ রেজিস্ট্রি করে নেব। এছাড়া আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে সৃষ্ট মামলা প্রত্যাহার করে নেব এবং এখন থেকে এক সঙ্গে সুখে-শান্তিতে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করবো।
এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সানির বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি মোহাম্মাদপুর প্রথম মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই মামলায় তিনি নিজেকে সানীর স্ত্রী দাবি করে অভিযোগ করেন যে, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের ৩ বছরেও সানী তাকে তুলে নিয়ে নেননি। গত বছর ১২ জুন রাতে ১টা ৩৫ মিনিটে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি নাসরিন সুলতানা নামের একটি ফেসবুক ফেইক আইডি থেকে নাসরিনের আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। ওই ফেইক আইডিটি আরাফাত সানির ব্যক্তিগত মোবাইলফোন নম্বর ব্যবহার করে খোলা হয়েছিল এবং ওই ছবিগুলো শুধু সানির কাছেই ছিল।
ওই মামলায় গত ২২ জানুয়ারী সানী গ্রেপ্তার হলে ওই দিন তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলাটিতে প্রায় এক মাস ১৮ দিন কারাভোগের পর গত ৯ মার্চ সানীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। পরবর্তী সময়ে বাদিনী নাসরিন সুলতানা এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে একটি এবং নারী নির্যাতন আইনে অরেকটি মামলা করেন। ওই মামলাগুলোর একটিতে সানীর সঙ্গে তার মাকেও আসামি করা হয়। তবে সমঝোতা হওয়ায় আজ ওই মামলাগুলো প্রত্যাহারেরও আবেদন করা হয়েছে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ