নেইমারের চোখে জল
গেল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বার্সেলোনায় দুই দফা সন্ত্রাসী হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শুরু হয় পিএসজি-তুলুজ লড়াই। লিগ ওয়ানে সেই নীরবতার সবচেয়ে বিষাদময় চাদরটা গায়ে জড়ান নেইমার।
আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মনে পড়ে গেল ফেলে আসা ক্লাবের কথা। কত স্মৃতি কতই সুন্দর ছিল বার্সার দিনগুলো। সব যেন এই রাতে নেইমারের মাথায় এসে ভর করল। মাথা নুইয়ে কেঁদেই ফেলেন নেইমার।
সাবেক বন্ধু লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের নিয়ে যে বার্সেলোনা শহর দাপিয়ে বেড়াতেন নেইমার। সেটা এখন পর হয়ে গেছে। দূরে চলে গেলেও ভুলতে পারেননি স্পেনের মানুষদের। কারণ, স্পেন থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন নেইমার।
মনে পড়ে, যখন নেইমার তার ছেলেবেলার ক্লাব সান্তোস ছেড়ে বার্সায় পাড়ি দেন তখন প্রথম দিন এই নেইমারকে দেখতে, অভিবাদন জানাতে রাস্তা, বাসাবাড়ি সেজেছে নেইমার ঢঙে। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না ন্যু ক্যাম্পেও। সেদিন ব্রাজিলীয়ান তারকাকে স্বাগত জানাতে ন্যু ক্যাম্পে হাজির হয়েছিল রেকর্ড পরিমাণ সাড়ে ৫৬ হাজার দর্শক। আজ হয়তো নেইমার বার্সায় নেই। তাতে কি। অতীত ভুলে যাবেন তিনি। মোটেও না। বার্সায় সন্ত্রাসী হামলার পর মেসি-পিকেরা যেমন মন খারাপ হয়েছে। নেইমারেরও তেমনই।
হামলার খবর শুনেই নেইমার লিখেছিলেন, বার্সেলোনার জন্য প্রার্থনা। সন্ত্রাসবাদ আর নয়। আবেগী ভাষায় নেইমারের আরেক টুইট ছিল এমন, কুই দিউস কনফোর্তে তুদাস আস ফ্যামিলিয়াস। প্রে ফর বার্সেলোনা। তে কুইরো বার্সেলোনা। যার বাংলা অর্থ ঈশ্বর নিহতদের পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দিন। বার্সেলোনার জন্য প্রার্থনা। আমি বার্সেলোনাকে ভালোবাসি।
পিডিএসও/হেলাল