সাকিব-মাশরাফিতে হাসছে বাংলাদেশ
ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশের হাতে। ৪৬ ওভার শেষ। কথাই আছে যত গর্জে তত বর্ষে না। শুরুতে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিলেও তা আর নেই।
এই রিপোর্ট লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪৮ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৯ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন দুই ওপেনার লুক রনকি ও টম ল্যাথাম। তবে চতুর্থ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের আঘাতে হাসি ফোটে বাংলাদেশের মুখে। কাটার মাস্টারের বলের গতিপ্রকৃতি বুঝতে না পেরে এক্সট্রা কাভারে সাকিব আল হাসানের ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রনকি। এরপর ব্রম ও ল্যাথাম মিলে ১৩৩ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চাপের মুখে ফেলে দেন।
নাসির আক্রমণে এসে বিপজ্জনক জুটি ভাঙেন। তার করা ২৮তম ওভারের প্রথম বলে স্কয়ার লেগে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্রম। ৩০তম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ল্যাথামকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন প্রায় সাত মাস পর ওয়ানডে একাদশে সুযোগ পাওয়া নাসির।
এরপর টেলর ও অ্যান্ডারসন মিলে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এই জুটি ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। ৩৯তম ওভার সাকিব কিউই শিবিরে আঘাত হেনে বাংলাদেশকে উল্লাসে ভাসান। ওভারের চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন অ্যান্ডারসন। এরপর মাশরাফির করা ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলে লং অফে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নিশাম।
এরপর ক্রিজে এসে সেট না হতেই ৪৩তম ওভারে স্যান্টনারকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন সাকিব। পরের ওভারের প্রথম বলে মুনরোকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের শিকার বানিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচের লাগাম এনে দেন মাশরাফি।
পিডিএসও/রিহাব