তাসকিনের প্রথম ওয়ানডে হ্যাটট্রিক
বাংলাদেশের সামনে ৩১২ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট
বাংলাদেশের সামনে ৩১২ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আজ মঙ্গলবার ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩১১ রানে অল আউট হয়েছে তারা। অবশ্য সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও একইভাবে রানের পাহাড় গড়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ৯০ রানের বড় জয় এসেছিল। আজ ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। উল্টো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় ছুড়ে দিয়েছে থারাঙ্গা শিবির। তবে এই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা কুশল মেন্ডিজের সেঞ্চুরিতে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩১১রান সংগ্রহ করেছে। সিরিজ জিততে হলে এখন বাংলাদেশকে করতে হবে এই ম্যাচে ৩১২ রান। তবে এই ভেন্যুতে ৩০০’র বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই।
টসে হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাতটি হেনেছিলেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২.৩ ওভারে মাশরাফির বলে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন লঙ্কান ওপেনার গুনাথিলাকা। বল চলে যায় অনেক উপরে। উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিক দৌড়ে গিয়ে ক্যাচটি নেন ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১১ বলে এক চারে নয় রান করেন গুনাথিলাকা। শুরুর ধাক্কা সামলে নেয় অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটি। যেখানে সাবলিল ব্যাট করেছেন অধিনায়ক উপল থারাঙ্গা ও কুশল মেন্ডিজ। এই জুটি বেশ আতঙ্ক ছড়ায় বাংলাদেশ শিবিরে। শেষ পর্যন্ত নাটকীয় এক নো বলে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয়।
২৪.৪ ওভারে নো বল করেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু রান নিতে গিয়ে বিপদে পড়েন অধিনায়ক উপল থারাঙ্গা। রিয়াদের সরাসরি থ্রো স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ৭৬ বলে নয় চারে ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন থারাঙ্গা। দ্বিতীয় এই উইকেট জুটিতে আসে ১১১ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ শিবিরকে হতাশ করেন মেন্ডিজ ও চান্দিমাল। এই জুটি থেকে আসে ৮৩ রান। এরই মধ্যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান কুশল মেন্ডিজ। শেষ অবধি এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ২৪ রান করা চান্দিমাল এলবির শিকার। শ্রীলঙ্কার দলীয় স্কোর তখন ২১২।
চান্দিমালের বিদায়ের পর সোজা হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাল্টা তাসকিন আহমেদের আঘাত। ১০২ রান করা কুশল মেন্ডিজ কে আউট করেন তাসকিন। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তাসকিন দক্ষতার সঙ্গে, ৩৭.৪ ওভারে। ১০৭ বলের ইনিংসে কুশল হাঁকিয়েছেন নয়টি চার ও একটি ছক্কার মার। ৪৪.৫ ওভারে আউট হতে পারতেন সিরিবর্ধনে। মাশরাফির বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই ক্যাচ দৌড়ে এসেও লুফে নিতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে পরের ওভারেই ক্যাচ মিসের বদলা নেন মিরাজ নিজেই সিরিবর্ধনেকে বোল্ড করে। ৩০ বলে ৩০ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর দ্রুতই রান আউট হন থিসারা পেরেরা। দলীয় রান তখন ২৮০।
শেষ অধ্যায় তাসকিনময়। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান তিনি। ৫০তম ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে তিন লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে আউট করেন বাংলাদেশের এই পেসার। পরপর বিদায় নেন গুনারতেœ, লাকমল ও প্রদীপকে। ৪৯.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা অলআউট ৩১১ রানে। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া মাশরাফি, মিরাজ ও মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট লাভ করেন।পিডিএসও/মুস্তাফিজ