সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিকও, বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ
ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটের ওপর নির্ভর করে দলের জয়-পরাজয়ের গল্প। ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে তিনি একাই লড়েছিলেন। দুটোতেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। একই ইনিংসে মুমিনুলের পর মুশফিক তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন।
মুশফিক ঠিক ১০ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। বাংলাদেশও এই টেস্টের আগে ১০ ইনিংসে সেঞ্চুরি খরায় ভুগছিল। এর আগে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ক্যারিয়ার সেরা ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। সোমবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের তৃতীয় দিন আবারও একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি।
এই সেঞ্চুরি হতো আরও আগেই, ৯৯ রানের মাথায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফেরার পর দ্বিতীয় ওভারে এনডলবুকে চার মেরে সেঞ্চুরির মাইলফলক অর্জন করেন মুশফিক। তাকে চাপে ফেলতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক দুজন বাদে সবাইকে নিয়ে আসেন বৃত্তের ভেতরে। ৯৫ থেকে ৯৯ রানে এসেছিলেন চার মেরে, ১০০ রানের ঘর ছুঁতে ৯ বল খেলেন মুশফিক। ১৬০ বলে ২৩০ মিনিটে ১৮টি চারের মারে ১০০ রান করেন বাংলাদেশের এই ব্যাটিং স্তম্ভ।
টানা টেস্টে হারতে থাকা বাংলাদেশ এই ম্যাচে এখন চালকের আসনে। জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে এই স্কোর টপকে ১২৯ রানের লিড দিয়েছেন মুমিনুলরা।
গতকাল দ্বিতীয় দিনও এই দুজনেই শেষ করেন। এর আগে শান্ত সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে আউট হয়েছিলেন ৭১ রানে।
দিনের শুরুতে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ও ক্যারিয়ারের নবম শতকের দেখা পান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল। ডোনাল্ড টিরিপানোকে চার মেরে ১৫৬ বলে ১২টি চারের মারে তিনি এই সেঞ্চুরি হাঁকান।
প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৬৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী ও নাঈম হাসান।
শেষ খবর হলো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪১৬ রান। ক্রিজে আছেন মুশফিক ও মোহাম্মদ মিথুন।
পিডিএসও/রি.মা