ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১২ নভেম্বর, ২০১৯

দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে ভাবনায় বাংলাদেশ

ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে গোলাপি বলে কিছুটা অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন ইমরুল কায়েস। অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ বাকিদের সেই অভিজ্ঞতাটুকও নেই। স্বাভাবিকভাবেই অনভিজ্ঞতার চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

আর তাই ইন্দোরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দিবা-রাত্রির ঐতিহাসিক টেস্ট নিয়ে ভাবনায় দলের সবাই। হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মনে করেন, একটা প্রস্তুতি ম্যাচ পেলে ক্রিকেটাররা কিছুটা ধারণা পেতেন সামনে ঠিক কী অপেক্ষা করছে।

ভারতের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ইন্দোর টেস্ট দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক হবে বাংলাদেশের। এই ম্যাচকে খেলোয়াড়রা কম গুরুত্ব দিচ্ছেন, ব্যাপারটা তা নয়। তবে লাল বলের ক্রিকেটে নতুন করে অভ্যস্ত হওয়ার কিছু নেই।

উপমহাদেশে খেলা বলে বড় পরিবর্তনের কোনো দরকারও দেখছেন না মুমিনুল, সাদমান, মিরাজরা। কিন্তু মাথা ব্যথার যত কারণ, ওই গোলপি বলে খেলা নিয়েই। যদিও প্রতিপক্ষ ভারতেরও প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট হবে এটি। তবে দিলিপ ট্রফির তিনটি আসরে গোলাপি বল দিয়ে খেলায় কিছুটা হলেও ধারণা আছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ইন্দোর টেস্টের আগে ক্রিকেটারদের মনে ঘুরে-ফিরে আসছে ইডেন টেস্টের কথা।

সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতেই ডমিঙ্গোর কণ্ঠে ঝরল কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ না থাকার আক্ষেপ, ‘খুব ভালো হতো গোলাপি বলে যদি দুই দিনের একটা ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলা যেত। আমি দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ থাকাকালীন অ্যাডিলেড টেস্টের আগে গোলাপি বলে একটা দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম আমরা। কিন্তু ভারতে প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে মাত্র তিন দিনের ব্যবধান। যে কারণে ছেলেরা বেশ উদ্বিগ্ন। ভ্রমণের পর অনুশীলনের জন্য সময় মোটে দুদিন। তৈরি হওয়ার তেমন সময় নেই।’ স্বাগতিক ভারতকেও যে একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে, সেটাও মানেন ডমিঙ্গো, ‘আমাদের মতো ওদের জন্যও একই ব্যাপার। তবে এই চ্যালেঞ্জকে সহজ করে নিতে হবে।’

গোলাপি বলের ক্রিকেটের সাক্ষী অনেক আগেই হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের গুরু। সেই দেখা থেকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করেছেন দিবা-রাত্রির টেস্টে খেলোয়াড়দের জন্য মূল চ্যালেঞ্জগুলো, ‘আমাদের একেবারে নির্দিষ্ট করে সূর্যাস্ত এবং আধার নামার মাঝের সময়টায় ব্যাটিং অনুশীলন করতে হবে। এই সময়টাতে সংগ্রাম করতে হয় বেশি। রিস্ট স্পিনারদের বিপক্ষে খেলোয়াড়দের বেশ লড়তে হয়। কারণ, সিম দেখতে সমস্যা হয়। লাল বলের সাদা সিম যেমন দৃশ্যমান থাকে এই বলে তেমনটা হয় না।’

ভারতের পেস বোলিং ইউনিট এখন বিশ্বের যে কোনো ব্যাটিং লাইন আপকে ধসিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। দুই দিকে সুইং করাতে পারেন এমন বোলারেরও কমতি নেই। গোলাপি বলের ক্রিকেটে তাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে মুমিনুল-ইমরুলদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া স্বাভাবিক।

ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সৌরভ গাঙ্গুলী বিসিসিআইয়ের প্রধান হওয়ার পর তার আগ্রহেই কলকাতা টেস্ট দিবা-রাত্রির হয়ে যায়। ছেলেদের একেবারে নতুন একটি পরীক্ষায় ফেলার আগে তাদের প্রস্তুতি নিয়ে কতটা ভেবেছিল বিসিবি?

বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, সাদা, লাল কিংবা গোলাপি বল কোনো ফ্যাক্টর নয়, ভারতে সিরিজ খেলা নিশ্চিত করার দিকেই বেশি নজর ছিল তার, ‘ভারতের মাটিতে সিরিজ এর আগে পাইনি। আমার আগে যারা ছিলেন তারাও চেষ্টা করেছেন, পারেননি। শুধু আমরাই যে প্রথমবার গোলাপি বলে খেলতে যাচ্ছি, তা কিন্তু নয়। ওরাও (ভারত) তো এই বলে নতুন। কাজটা আমাদের জন্য কঠিন। দেখা যাক কী হয়।’

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেট,দিবা-রাত্রির টেস্ট,বাংলাদেশ-ভারত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close