সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ০১ অক্টোবর, ২০১৯

সাংবাদিকের পুকুরে মাছ ধরে সময় কাঁটালেন মোস্তাফিজ

ত্রিদেশীয় সিরিজের পর জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অখণ্ড অবসর। কিছুদিন পর শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। তার আগে অবসরটা বেশ ভালোই উপভোগ করছেন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের পেসার, কাটারমাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান অবসর কাটাচ্ছেন সাতক্ষীরায় নিজের গ্রামের বাড়িতে।

এরইমধ্যে সাংবাদিক আকরামুল ইসলামের দাওয়াতে সাড়া দেন মোস্তাফিজ। দাওয়াতের বিশেষত্ব ছিল, বড়শি দিয়ে পুকুরে মাছধরা।

সাতক্ষীরার তালা সদরের শিবপুর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকরামুল ইসলামের বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পৌঁছান মোস্তাফিজ। তার বাল্যবন্ধু হাফিজুর রহমান হাফিজসহ মাছ ধরার এ আনন্দ আয়োজনে এসে যোগ দেন প্রায় ১০ জন।

তবে মোস্তাফিজের মেজ ভাই পল্টু অবশ্য আগেই চলে এসেছিলেন। সকাল ৮টায় এসে পৌঁছান তিনি। মাছ ধরার চিপি, খাবার —এসব ঠিকঠাক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন পল্টু।

দুপুর ১২টার দিকে বন্ধু-বান্ধবসহ উপস্থিত হওয়ার পরই নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে পুকুরে বড়শি ফেলেন মোস্তাফিজ। হতাশ হতে হয়নি তাকে। একে একে মোস্তাফিজের বড়শিতে ধরা পড়ে প্রায় ১২ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাস মাছ। আরও ৭টা পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়েছে, যার প্রতিটি ৮ থেকে ৯ কেজি ওজনের। এছাড়া একটি রুই মাছও ধরা পড়েছে। যেটার ওজন হবে প্রায় ৫ কেজি।

এদিকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে আসছেন মোস্তাফিজ। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মুহূর্তেই সাংবাদিক নজরুল ইসলামের বাড়িতে শত শত মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এক সময় উৎসুক জনতার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তালা থানার পুলিশকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়।মাছধরা শেষে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন মোস্তাফিজ। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসী ও ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলা এবং আড্ডা দিয়ে সময় কাটান মোস্তাফিজ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন, থানার সেকেন্ড অফিসার সেকেন্দারের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল। তালাবাসীর পক্ষ থেকে আকরামুল ইসলাম ক্রেস্ট উপহার দেন মোস্তাফিজকে। বিকেল ৫টার দিকে আনন্দ আয়োজন শেষ করে নিজ বাড়িতে ফিরে যান জাতীয় ক্রিকেট দলের এই পেসার।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মোস্তাফিজ,পেসার মোস্তাফিজ,মাছধরা,সাতক্ষীরা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close