এক দিন বিশ্রামের পর ফের ব্যাট-বলের কসরত। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল সকালে ঘাম ঝরিয়েছে বাংলাদেশ দল। ‘ও ভাই’ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের লাইন-আপ ঠিক হয়ে গেছে আগেই। তবে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আপাত গুরুত্বহীন ম্যাচটিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙা আর জয়ের ধারায় থেকে ফাইনালের মঞ্চে খেলতে নামা।

দুই দলের আগের লড়াইগুলোতে বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয়নি আফগানিস্তান। মিরপুরে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক অকপটে স্বীকার করেছিলেন, বাংলাদেশের জন্য আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টিতে অনেক বড় দল। দুই দলের ক্রিকেটীয় স্কিল ও মানসিকতায় ব্যবধান যথেষ্ট। সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে কীভাবে আফগানদের হারানো যায়, তার উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ। আজ সেই প্রচেষ্টায় আরেকবার মাঠে নামবেন সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা।

গতকাল দলের অনুশীলনে আফগান স্পিনারদের সামলানো নিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ দেখা গেছে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাল্টা জবাব দেওয়ার ভাবনা থাকতে পারে দলের, সেটির ইঙ্গিত মিলেছে নেটে অনুশীলনে। দারুণ পেশিশক্তির আফগান ব্যাটসম্যানদের থামিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ নিতে নেটে প্রস্তুতি সেরেছেন বোলাররাও।

সেই বোলারদের একজন শফিউল ইসলাম। দুই বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিয়েছেন ৩ উইকেট। নতুন বলে কিছুটা সুইং করানোর সামর্থ্য বাংলাদেশের যে হাতে গোনা দুই-একজন বোলারের রয়েছে, শফিউল তাদের একজন। কিন্তু চোট প্রবণতা ও ধারাবাহিকতার অভাব মিলিয়ে দলে থিতু হতে পেরেছেন কম সময়ই। ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার দলে আসা-যাওয়ার পালায় এটি তার নতুন অধ্যায়।

গতকাল অনুশীলন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ২৯ বছর বয়সি এই পেসার। জানালেন, ফাইনালের আগে আফগানদের হারাতে কতটা মরিয়া দল, ‘আমরা চেষ্টা করছি ভালো প্রস্তুতি নিতে। আজকের ম্যাচটি আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভালো খেলতে পারলে সেটি থেকে আমাদের সবার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। জয়ের অভ্যাসটি আমাদের ফাইনালে ভালো খেলতে সহায়তা করবে।’ শফিউল আরো বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো শোধরাতে পারি, নিজেদের কাজটি সবাই ঠিকমতো করতে পারি, শতভাগ দিতে পারি, তাহলে অবশ্যই তাদের হারানো সম্ভব।’

এই চ্যালেঞ্জে নতুন অস্ত্র আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে পাবে কি-না বাংলাদেশ, সেটি নিশ্চিত নয় এখনো। অভিষেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ উইকেট নেওয়ার পথে তরুণ লেগ স্পিনার চোট পেয়েছেন বাঁ-হাতে। হাতে তিন সেলাই নিয়েই অবশ্য গতকাল নেটে বোলিং করেছেন দীর্ঘসময়। এই চোট নিয়ে ম্যাচ খেলা অসম্ভবও নয়। তবে ফাইনালের আগে হয়তো তাকে খেলিয়ে ঝুঁকি নেবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। হয়তো আফগানদের অচেনা এই দেশি অস্ত্রকে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আসল ধার দেখানোর সুযোগ করে দেবে বিসিবির কর্তাব্যক্তিরা।

পিডিএসও/তাজ