আরিফ সোহেল
নিউজিল্যান্ডকে রুখে দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা!
দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনা প্রায় শেষ। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ৩। পরের ৪ ম্যাচে জিতলেও সম্ভাবনা থাকবে শুধু কাগুজে হিসেবেই। থাকবে একদাগা সমীকরণ। সেই সমীকরণ নিয়েই আজ চোকারখ্যাত প্রোটিয়ারা মাঠে নামছে। নিউজিল্যান্ডের বিজয়রথ রুখে দিতে প্রস্তুত ফাফ ডু প্লেসি বাহিনী। প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দুর্দান্ত নিউজিল্যান্ড। পয়েন্ট টেবিলে নিউজিল্যান্ড রয়েছে তৃতীয় স্থানে; ৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৭। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের চলতি আসরে আজ ২৫তম ম্যাচ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায়। বার্মিংহামের এজবাস্টনে এই ম্যাচের আগে প্রকৃতির পূর্বাভাস—ক্রিকেটের অনুকূলেই রয়েছে সবকিছু।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকে এবারের বিশ্বকাপের ‘ডার্ক হর্স’ বলা হচ্ছে। প্রতি বার আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ভক্তদের নিরাশই করেন কিউইরা। মোট চারবার সেমিফাইনাল এবং একবার ফাইনাল খেললেও তারা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এবার ফাইনালের প্রায়শ্চিত্ত করতে বদ্ধপরিকর নিউজিল্যান্ড। দলে যথেষ্ট ভারসাম্যও রয়েছে। মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, কলিন মুনরোর মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান রয়েছেন। কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের উপস্থিতি দলকে শক্তিশালী করেছে। নতুন মুখ হিসেবে লকি ফার্গুসন, গ্র্যান্ডহোম, স্যান্টনার, টম লাথামের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন। তবে লোয়ার অর্ডারটা ঠিকঠাক হচ্ছে না।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেলেও মর্যাদার লড়াইয়ে ফিরে আসতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সামনে জয়ের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে সহজ জয়ে দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। এখন আমাদের কাঁধে বাড়তি একটি চাপ এসেছে। আমরা সবাই জানি টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে অবশ্যই জিততে হবে। আর আজকের ম্যাচটা সেই পথে যাওয়ার জন্য সত্যিকার অর্থেই কাজে আসবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছিলেন লুঙ্গি এনগিডি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে তিনি এখন শতভাগ ফিট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই মাঠে নামার আশা এই পেসারের। প্রথম ২ ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছেন তিনি। এনগিডি বলেছেন, ‘এটা কঠিন। ইনজুরি কখনোই ভালো ব্যাপার নয়। সাপোর্ট স্টাফ ও আমি মিলে এখন ভালো অবস্থানে আছি। সবকিছু মিলিয়ে বলব ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় আছি, এখন আমি শতভাগ ফিট।’
বিশ্বকাপের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকা ধাক্কা খায় ডেল স্টেইনকে হারিয়ে। কোনো ম্যাচ না খেলে অভিজ্ঞ পেসার ছিটকে গিয়েছেন। এরপর এনগিডির চোট প্রোটিয়াদের বোলিং আক্রমণকে আরো দুর্বল করে দিয়েছিল।
বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে কিউইরাই। ৭ ম্যাচের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের জয় ৫টিতে, বাকি ২টিতে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
পিডিএসও/হেলাল