দক্ষিণ আফ্রিকায় লঙ্কানদের ইতিহাস
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট নাকি ‘অস্তের দুয়ারে’। টানা হারতে থাকলে তো এমন কথা উঠা অস্বাভাবিক কিছু না। লঙ্কান সাবেক ক্রিকেটাররা এ নিয়ে কম কথা তুলেনি তরুণ দলটা নিয়ে। অথচ এই তরুণ দলটাই কি না ইতিহাস গড়ে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে! যা পারেনি সাবেক গ্রেটরাও। শুধু লঙ্কান অভিজ্ঞরাই নয়, পারেনি এশিয়ার আর কোনও দেশও।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শনিবার হারালো ৮ উইকেটে।
ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টে শেষ ইনিংসে ২০০ বলের ১৫৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে ১ উইকেটে হারিয়ে দেয় প্রোটিয়াদের। প্রথম ম্যাচের পর অনেকে হয়তো ভেবে নিয়েছিল, একটা ম্যাচে পেরেছে তো পরের ম্যাচেও এমন হবে নাকি? কিন্তু ঠিকই পেরেছে দিমুথ করুনারত্নের নেতৃত্বাধীন দলটি।
২১ ফেব্রুয়ারি পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হয় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়ারা প্রথম দিনে মাত্র ৬১.২ ওভারে অল-আউট হয়ে যায় ২২২ রানে। প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসের জবাবে মাত্র ৩৭.৪ ওভারে ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসের ৬৮ রানে এগিয়ে থাকা প্রোটিয়াদের আশায় গুড়েবালি সুরাঙ্গা লাকমল আর ধনাঞ্জায়া সিলভায়।
লাকমল ৩৯ রানে ৪টি আর সিলভা ৩৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের মাত্র ১২৮ রানে অল-আউট করে দেয় সফরকারীরা।
প্রথম ইনিংসের ৬৮ রানের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসের ১২৮ রান মিলে মোট ১৯৬ রানের লিড দাঁড় করায় স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনে জিততে হলে সফরকারীদের লাগতো ১৩৭ রান। অপরাজিত ছিলেন কুশল মেন্ডিস আর অশাদা ফার্নান্দো। এই দুইজন মিলেই তুলে নেন গতদিনের বাকি থাকা ১৩৭ রান। ফার্নান্দো করেন ৭৫ আর কুশল করেন ৮৪ রান। ৮ উইকেটের জয়ে প্রোটিয়াদের তো ধবল ধোলাই করল লঙ্কানরা, সঙ্গে ইতিহাসও গড়ে ফেলল এশিয়ার দেশটি।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল কেবল অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড।