মোসাদ্দেক ভরসায় চিটাগংয়ের রক্ষা
চট্টগ্রামে বিপিএলের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চিটাগং ভাইকিংস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বৃষ্টির কারণে খানিক দেরিতে টস হয়। খেলা শুরু হয় ১০ মিনিট পরে। তবে হালকা বৃষ্টির কারণে এক ওভার শেষে খেলা বন্ধ হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ফের শুরু হলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১৯ ওভারে নেমে আসে।
খেলতে নেমে নির্ধারিত ১৯ ওভারে বেশ কষ্টে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান সংগ্রহ করে চিটাগং।
শুরুতেই ব্যাটিং নেমেই বিপাকে পড়ে চিটাগং। পড়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের পেস তোপে। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাদমান ইসলামকে ফিরিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা দেন তিনি। খানিক পর ইয়াসির আলিকে এভিন লুইসের ক্যাচ বানিয়ে ধাক্কাটা দ্বিগুণ করেন আ পেসার। এর রেশ না কাটতেই মুশফিকুর রহিমকে তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন ওয়াহাব রিয়াজ।
পরে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ শেহজাদ। একটু পরই অযাচিতভাবে মেহেদী হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে সাইফউদ্দিনকে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি। পরে বল হাতে আতঙ্ক ছড়ান শহীদ আফ্রিদি। আউট ক্যামেরন ডেলপোর্ট। খামাখা তাকে তুলে মারতে গিয়ে শামসুর রহমানকে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি। এর জের না কাটতেই পাকিস্তানি লেগস্পিনারের দুর্দান্ত কুইকারে সোজা বোল্ড হয়ে সিকান্দার রাজা ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগং।
ভরসা হয়ে উঠছিলেন শেহজাদ। যদিও মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তার সংগ্রামও থামে। আবু হায়দার ও আনামুল হকের যৌথ প্রচেষ্টায় রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন এ আফগান হিটার।
তবে মোসাদ্দেকের সৌজন্যে শেষ বেলায় ভালো রান পায় দলটি। অষ্টম উইকেটে নাঈম হাসানের সঙ্গে ২২ রানের জুটি গড়ে তুলে প্রতিরোধ করেন তিনি। ৩টি ছয় ও ৩টি চারের মারে ৪৩ রান করেন মোসাদ্দেক।
পিডিএসও/তাজ