তুহিন আহমদ, সিলেট

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আজ

জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হচ্ছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। আজ শুক্রবার অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে উভয় দল। এই সিরিজেই সিলেট স্টেডিয়াম থেকে প্রথমবারের মতো ট্রফি জিতবে কোনো দেশ। আর এটিই বাংলাদেশের বছরের শেষ ম্যাচ। তাই বছরের শেষ ম্যাচটা জয় দিয়েই শেষ করতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু দলটির ভাবনায় রয়েছে ম্যাচের শেষ ১০ অভার। তবে সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে ডেথ ওভারে বোলিং লাইনআপে কোনো পরিবর্তন মনে করছেন না এই অধিনায়ক।

গত ম্যাচে শেষ ১০ ওভারে ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। স্লগ ওভারের সুবিধা নিতে না পারায় বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ৪ উইকেটে। শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তাই একাদশ ও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্নটা উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। তবে বোলিং নিয়ে মাশরাফির জবাব ডেথ ওভারে বোলিং লাইন-আপে কোনো পরিবর্তন মনে করছেন না। কৌশলগত পরিবর্তনের কোনো আভাসও দেননি। গত ম্যাচের মতোই শেষ ১০ ওভারের কৌশল প্রয়োগ করা হতে পারে বলে জানালেন অধিনায়ক।

মাশরাফি বলেন, ‘গত ম্যাচে আমরা ভাবিনি টেল এন্ডার পর্যন্ত ব্যাট করতে হবে। যেহেতু দুজন সেট ব্যাটসম্যান ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকায় ৪৬-৪৭ ওভারে রান আসেনি। ওই সময়ে রিয়াদ থাকলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়; সাকিব তো দুর্দান্ত। গত ম্যাচে সাকিব সেভাবেই খেলছিল। সৌম্য আর লিটন আউট হয়ে যাওয়াতে আসলে চাপটা তৈরি হয়ে যায়। আর ওরাও যেভাবে বোলিং করছিল, আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারিনি। ওদের পেস আর ভ্যারিয়েশন ছিল। আমাদের দক্ষতাও হয়তো সেই পর্যায়ের না, ওদের এই বোলিং সামলানোর মতো। সবকিছু মিলিয়ে কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। হয়তো বা সাকিব-রিয়াদ-সৌম্য আরেকটু সময় থাকলে কাজটা সহজ হয়ে যেত।’

সিলেটের মাঠে বাংলাদেশ দলের খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। সবশেষ গত অক্টোবরে টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। বেশি ম্যাচ না খেলায় ঘরের মাঠের উইকেট সম্পর্কেও খুব বেশি ধারণা নেই বাংলাদেশের। যার খেসারত দিতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে। তবে উইকেট দেখে অধিনায়ক জানালেন, ‘এই মাঠে ২৫০ রান করতে পারলে ভালোই মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। এছাড়া এখানে দর্শকদের সমর্থনও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। শেষ ম্যাচটা আশা করছি অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’

সিলেটের ম্যাচটা সিরিজ নির্ধারণী হওয়ার একটা চাপ আছে। সেই এই ম্যাচটা বছরের শেষ ম্যাচও। তবে চাপমুক্ত থেকে বছরের শেষ ম্যাচটা জয় দিয়ে শেষ করতে চান মাশরাফি।

তিনি বলেন, ‘জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে ভালো হবে। প্রথম ম্যাচের পর বলেছিলাম এ বছরের জয়ের গড়টা আমাদের বেশ ভালো। জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে খুব ভালো হবে। পাশাপাশি খুব বড় একটা টুর্নামেন্ট জেতার সুযোগ ছিল। বছরের শুরুতেও একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ হেরেছি। এছাড়া সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডে ফরম্যাট বেশ ভালো গিয়েছে। শেষ ম্যাচে তাই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চাই।’

সব মিলিয়ে সিলেটের মাঠ বাংলাদেশের জন্য এখনও পয়মন্ত নয়। এখানে বাংলাদেশ দুইটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছে। জয় পায়নি একটিতেও। তবে আগের দুইটি ম্যাচের ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে ওয়ানডে ম্যাচটি জয় দিয়ে রাঙাবে টাইগাররা এমনটাই প্রত্যাশা সিলেটের ক্রিকেটপ্রেমীদের।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ,জয়,মাশরাফি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close