ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। মাত্র ২০৪ রানের লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট করতে নেমেই বাংলাদেশি বোলিংয়ের নতুন সেনসেশন তাইজুলের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানে জয় পায় টাইগাররা। এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ৬ উইকেট।
প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্টে হারাল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫ টেস্টে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। আগের দুটি জয় ছিল ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে।
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাকিব-তাইজুুলের জাদুকরি বোলিংয়ে শুরুতেই বিধ্বস্ত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সাকিবের জোড়া আঘাতের পর ২ উইকেট তুলে নেন তাইজুল। এরপর লাঞ্চ ব্রেকের পর মাঠে নেমেই উইকেট তুলে নেন মিরাজ ও তাইজুল। বাংলাদেশের দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্পিন ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ।
শিমরন হেটমায়ার। সাকিবের এক ওভারে ২ চার এক ছক্কায় নেন ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত এই মারকুটে ব্যাটসম্যান মেহেদী মিরাজের বলে নাঈম হাসানের তালুবন্দি হন।
শুরুতেই সাকিবের চমক
শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ইনিংসে তৃতীয় ওভারেই ওপেনার কিয়েরণ পাওয়েলকে তুলে নেন তিনি। টেস্টে ক্রিকেটে এটি সাকিবের ২০০তম উইকেট। এরপরই আবার সাকিবের শিকার হয়ে ফিরে যান হোপ।
তাইজুল ঘূর্ণি
বোলিং করতে এসে প্রথম ওভারের ৫ বলে ২ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপঅর্ডার ব্যাটিং লাইনআপকে চুরমার করে দিলেন তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হন ক্রেইগ ব্রাফেট (৮)। পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হন রোস্টন চেজও।
এর আগে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। এছাড়া মুশফিক ১৯ এবং মিরাজ করেন ১৮ রান। মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
দুই ইনিংসে মিলিয়ে ২০৩ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩২৪ রান তোলে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা আউট হয় ২৪৬ রানে।
পিডিএসও/তাজ