সিলেট টেস্ট
আশা দেখাচ্ছেন তাইজুল
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই তাইজুলেই বেশ বিপাকে পড়ে গেছে তারা। এই বাঁহাতি স্পিনার ৪ উইকেট নিয়েছেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্টে ১০ উইকেট নিলেন তিনি। তাইজুলের সঙ্গে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের শিকারে নেমেছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট।
গত রাতের বৃষ্টি সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটাকে বেশ অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছিল। তবে যথাসময়ে খেলা শুরু হলে গত দিন ২ ওভার ব্যাটিং করা জিম্বাবুয়ে দিনের শুরুটা করে বেশ ধীরলয়েই। তিন স্পিনার নাজমুল, তাইজুল আর মিরাজের সঙ্গে একমাত্র পেসার আবু জায়েদও দারুণ লাইনে বোলিং করে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের প্রায় বেঁধেই রেখেছিলেন। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ব্রায়ান চারিকে দারুণ এক বলে বোল্ড করেন মিরাজ। চারি অবশ্য আবু জায়েদের বলে দিনের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মোটামুটি সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন নাজমুল। তবে চারি শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি।
চারির বিদায়ের পর উইকেটে বেশ আগ্রাসী মনোভাবেই আসেন ব্রেন্ডন টেলর। অন্যদিকে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাটিংয়ে ছিল ‘ধীরে চলো’ নীতি। টেলর কতটা আগ্রাসী ছিলেন, সেটি বোঝায় যায় একটি পরিসংখ্যানেই। একপর্যায়ে ১৩ বলে ১৮ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের অন্যতম অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৫ বলে ২৪ রান করে তাইজুলকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়েই গড়বড় করে ফেলেন তিনি। ডিপ মিডঅনে বেশ খানিকটা দৌড়ে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন ইমরুল কায়েস।
এরপর টেলরের ধারাটা বজায় রাখতে ব্যর্থ হন শন উইলিয়ামস। তবে তিনি ৬৫ বল টিকে ২০ রান করেন। তাঁর আগে অবশ্য ফেরেন মাসাকাদজা। দলীয় ১০৩ রানে মিরাজের বলে এলবিডব্লু হন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে তিনি ৪৮ রান করেন। ১২১ রানে ফেরেন উইলিয়ামস। তাকে বোল্ড করেন তাইজুল। ১২১ রানেই পিটার মুর তাইজুলের বলে ক্যাচ দেন লিটনকে। সিকান্দার রাজা আশা হয়ে ছিলেন। কিন্তু তাইজুলের বলে আবারও বিভ্রান্ত তিনি।
পিডিএসও/হেলাল