ফেরার ম্যাচে স্বস্তি মুস্তাফিজের
চলতি বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ দলের এ পেসার বিদেশি লিগে খেলতে গিয়ে যে বিপদ ডেকে আনবেন সেটা কে জানতো।
এমন বিপদ মুস্তাফিজ ঠেলে দিয়েছিলেন ভাগ্যের কোর্টে। পায়ের আঙ্গুলের চোটে পড়ে খেলা হয়নি আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। খেলা হচ্ছেনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও। টেস্ট খেলতে না পারলেও সুযোগ পেয়েছেন ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার।
তবে সেটা শর্ত সাপেক্ষে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু আগেই জানিয়ে দেন, শ্রীলংকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে যদি ভালো পারফর্ম করে নিজেকে শতভাগ ফিট প্রমাণ করতে পারে তবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরতে পারবেন কাটার মাস্টার খ্যাত।
জাতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলে গেলেও মুস্তাফিজ বসে নেই। দেশীয় কোচদের তত্ত্বাবধানে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। সিলেটে চলছে লঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের শেষ ম্যাচ। এই দলের সেরা এগারোতে রাখা হয়েছিল তাকে।
মঙ্গলবার সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাঁধে বিপত্তি। দিনভর ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ হয় মাত্র ১৬৭ রান।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের প্রথম ইনিংসের জবাবে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানরা অল আউট হয় ৩১২ রানে। শিহান জয়সুরিয়ার ব্যাটে আসে ১৪২ রানের ইনিংস। সফরকারী ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিংয়েও খুব একটা খারাপ করেনি সানজামুল-মুস্তাফিজরা।
২৮.১ ওভার বোলিং করে ১০৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম। ১১ ওভার বোলিং করে ৪৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। বলা যায় দ্য ফিজ খ্যাত এই তারকার ফিরে আসার ম্যাচ কিছুটা স্বস্তি দায়ক বাংলাদেশ দল আর ভক্তদের জন্য। আগামী ১৩ জুলাই ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া বাকি সদস্যরা রওয়ানা করবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পথে।
পিডিএসও/রিহাব