এমবাপের গোলে শেষ ষোলতে ফ্রান্স
ফরাসিরা আগের ম্যাচে নিজেদের ঠিক চেনাতে পারেনি। দাপট ছিল না। তবু জিতেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের ফেভারিট দলটি বুঝি নিজেদের চেহারায় ফিরছে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় একাতেরিনবার্গে শুরু হয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ 'সি' এ বৃহস্পতিবারের দ্বিতীয় ম্যাচটি। প্রথম ম্যাচে হেরে টিকে থাকার লড়াইয়ে নামা পেরু তাদের প্রতিপক্ষ। আর সেই খেলায় ৩৪ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের গোলে শেষ ষোলতে ফ্রান্স ।এক ম্যাচ হাতে রেখে নক আউট পর্বে। আর পেরুর বিদায়।
খেলার প্রথম মিনিট ১৫ এর মধ্যেই ফ্রান্স দ্রুত গোল পাওয়ার আকাঙ্খাটা বুঝিয়ে দেয়। অলিভার গিরুদ বুকে বল টেনে সেটিকে এমবাপের কাছে দিলেও গ্রিজমানকে তা বুঝিয়ে দেওয়ার আগে হারান। এরপর গিরুদকে বল দিয়ে রিটার্ন পাস নিয়ে আঁতোয়া গ্রিজমান শট নিলেও তা লক্ষ্যহীন হলো। পল পগবাও ২৫ গজ দুর থেকে যে চেষ্টাটা করেছিলেন তা গোলকিপারের বেশ দুর থেকেই চলে গেল। গিরুদের হেডে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন গ্রিজমান। কিন্তু জোর ছিল না। গোলকিপার গালেসেও প্রস্তুত ছিলেন বলে সহজে ধরেছেন।
পেরু সৃষ্টিশীল ও গতিময় ফুটবল খেলে। কিন্তু তাদের আগেই চ্যালেঞ্জ করে বসা ফরাসিদের সামনে ছন্দ খুঁজে পেতে সময় লাগছিল। ১৯ মিনিটে একটি ফ্রি-কিক পেরু পেল বটে। কিন্তু উয়োতুন গোলমুখে চমৎকার বল পাঠালেও উমিতিকে ফাউল করে বসেন রদ্রিগেজ। কিন্তু তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক আক্রমণটি ছিল ৩২ মিনিটে। ফ্লোরেস কাটিয়ে নেন পাভার্দকে। এরপর নিচু ক্রস করেন। কুয়েভা সেই বলে উমিতিকে এড়িয়ে গোলের প্রায় ১২ গজ দুর থেকে শট নেন। বাঁ পায়ের সেই জোরালো শট গোলকিপার লরিস পা দিয়েই ঠেকিয়ে রক্ষা করেছেন দলকে।
পেরুর এমন আক্রমণ পছন্দ হয়নি বুঝি ফরাসিদের! ৩৪ মিনিটে লিড নেয় তারা। মাঝমাঠে বল হারায় পেরুভিয়ানরা। গিরুদ-পগবা মিলে এগিয়ে যান পেরুর রক্ষণের দিকে। গোল বক্সে ঢুকে পড়ে বাঁ দিক দিয়ে গিরুদ চমৎকারভাবে বলটাকে তুলে দিলেন। এমবাপে ছিলেন সেখানে। গোলরক্ষক পজিশন হারিয়েছেন। গোলমুখের ঠিক ডানে পায়ের হালকা ছোঁয়ায় বলটাকে জালে জড়িয়ে ফরাসিদের উৎসবে মাতান এমবাপে। পারফেক্ট গোল বলা যায়।
পিডিএসও/রিহাব