রাশিয়া বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ দিনের প্রথম খেলায় কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় নিয়ে শুভ সূচনা করেছে এশিয়ার অন্যতম প্রতিনিধি জাপান। ২-১ ব্যবধানে কলম্বিয়াকে হারিয়েছে তারা। খেলার ৭৪ মিনিটে ওসাকার গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় জাপান। এর আগে খেলার শুরুতেই মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় প্যানাল্টি থেকে গোল করে প্রথম এগিয়ে যায় দলটি। এর পর ৩৯ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আনে কলম্বিয়া। এদিকে এই ম্যাচের শুরুতে অর্থাৎ ৩ মিনিটের মাথায় জাপানের কাগাওয়াকে ডি বক্সের ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন কার্লোস সানসেজ। রাশিয়া বিশ্বকাপে এটিই কোন প্রথম লাল কার্ড খাওয়ার ঘটনা এটি। এই পেনাল্টি থেকেই গোল করে জাপানকে প্রথম এগিয়ে দেন কাগাওয়া। তারও আগে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় মরদোভা স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় এই ২ দল।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নেমে রাদামেল ফালকাও এই ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেনি। বদলি নেমে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন গত বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী হামেস রদ্রিগেসও। দারুণ আক্রমণাত্মক খেলে জাপান প্রায় পুরোটা সময় একজন কম নিয়ে খেলা কলম্বিয়াকে হারিয়ে রাশিয়ার আসরে শুভসূচনা করল। ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় জাপান। এই জয়ে গত ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে কলম্বিয়ার কাছে ৪-১ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধও নিল দলটি। এশিয়ার কোনো দেশ বিশ্বকাপে এই প্রথম দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশকে হারাল।

আগের ৩ ম্যাচে জাপানের কাছে অজেয় থাকার আত্মবিশ্বাস নিয়ে সারানস্কের মরদোভিয়া অ্যারেনায় আজ খেলতে নামা কলম্বিয়া ধাক্কা খায় ষষ্ঠ মিনিটেই। শিনজি কাগাওয়ার সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় জাপান। ডিফেন্ডোরদের বোকা বানিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ইউয়া ওসাকোর শট গোলরক্ষক দাভিদ অসপিনা ফেরানোর পর কাগাওয়ার ফিরতি শট হাত দিয়ে আটকান কার্লোস সানচেস। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজানোর সঙ্গে লাল কার্ডও দেখান কলম্বিয়ার এই মিডফিল্ডারকে।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে (২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড) লাল কার্ড পাওয়ার তালিকায় নাম উঠল সানচেসের। রেকর্ড হোসে আলবার্তো বাতিস্তার। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৫৪তম সেকেন্ডে লাল কার্ড পেয়েছিলেন সানচেস।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ