তীব্র সমালোচনার মুখে নেইমার!
রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র কারার পর দলের অনতম সেরা খেলোয়াড় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অবশ্য আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট নেইমারের দল। তারা এবার ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জিতবে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধ দেখা দর্শকরাও সে কথার সঙ্গে একমত হবেন। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে সবার প্রত্যাশার ব্রাজিলকে মোটেও দেখা যায়নি। বরং এক বাজে খেলা উপহার দিয়ে ১-১ গোলে ড্র করেছে নেইমাররা। সেই সঙ্গে নেইমারকে দেখা যায়নি চেনা চরিত্রে। এ যেন এক নিষ্প্রভ নেইমার। তিনি গোলের জন্য শটই নিতে পারেননি।
ম্যাচের পর থেকে ব্রাজিলে নেইমারকে তুলোধুনা করা হচ্ছে। কুতিনহোর দারুণ এক গোলে ব্রাজিল এগিয়ে গেলেও সে ধারাবাহিকতা নেইমারের মতো খেলায়াড় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। অথচ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুইজারল্যান্ডের স্টিভেন জুবের নিজেদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। সেই ঘটনার পরও জ্বলে উঠতে পারেননি নেইমার।
ইএসপিএন ব্রাজিল সংবাদদাতা অরনালডো রিবেইরো লিখেছেন, নেইমার মানেই যেন সম্পূর্ণ একটি বিপর্যয়। তিনি কোনোভাবেই একটি গ্রহণযোগ্য ম্যাচ খেলেননি। উচিৎ ছিল তাকে পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামানো। ব্রাজিল অবশ্যই দারুণ একটি দল এবং দলটিতে অনেক প্রতিভাবান ফুটবলারের সমন্বয় রয়েছে। যারা নিজেদেরকে যাবতীয় সমস্যা থেকে বের করে আনতে পারে। কিন্তু নেইমার একা চেষ্টা করেছেন ম্যাচটা জিততে এবং তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
অরনালডো লেখেন, নেইমার নিজের পায়ের অস্ত্রপচারকে হয়তো অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাবেন। কিন্তু তিনি তো পারফর্মই করতে পারেননি। দলের জন্য ভালো কোনো কিছুই উপহার দিতে পারেননি। আমি হলে তার পরিবর্তে ডগলাস কস্তাকেই খেলাতাম। এবং আমি এখনও বুঝতে পারছি না, কেন কস্তাকে খেলানো হয়নি।
সাবেক ফুটবলাররাও দুষছেন নেইমারকে। তাদেরই একজন জি এলিয়াস। তিনি বলেন, মাঠে সে (নেইমার) তো একজন স্বার্থপর ফুটবলার। এ কারণেই অনেকগুলো ফাউলের শিকার হয়েছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, কেন তারা নেইমারের জন্য এতটা উতালা হচ্ছে। মূল সমস্যা হচ্ছে, নেইমার ভুলে গেছে যে একটি দল হয়ে খেলতে হয়, একা একা না।পিডিএসও/মুস্তাফিজ