বিধ্বস্ত বাংলাদেশ : সংগ্রহ ১৩৪
আফগানিস্তানের বোলারদের হাতে চরমভাবে বিধ্বস্ত হলো টিম বাংলাদেশ। শুরু থেকে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এক তামিম ইকবাল ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই ভালো কোনো স্কোর গড়তে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৩৪ রান। জেতার জন্য আফগানিস্তানকে মাত্র ১৩৫ রানের মামুলি টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়
১৫ ওভার শেষে মাত্র ১০১ রান। তাও ৪ উইকেট হারিয়ে। এরপর ১৬তম ওভারে রশিদ খানের ওভারে ক্যাচ তুলে দিলেন সাকিব আল হাসান। কঠিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গেলেন টাইগাররা। এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও অল্প রান করে ফিরে গেছেন। সাকিবের পর েএলেন সৌম্য। কিন্তু পরের বলে ফিরে গেলেন তামিম ইকবালও। তামিমের রান তখন ৪৭ বলে ৪৩রান।
আশা জাগিয়ে ফিরলেন মুশফিকও
মুশফি-তামিম ভালো একটা জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডকে উচ্চতায় নিয়ে যাবে এমন একটা ধারণা যখন দর্শকরা করা শুরু করেছিলো তখনই নবীর বলে স্টাম্পড হয়ে গেলেন মুশফিক। দলের রান তখন ৭৫। আর মুশফিকের ব্যক্তিগত রান ১৮ বলে ২২। মুশফিক ফেরার পর ক্রিজে এসেছেন মোহাম্মদউল্লাহ রিয়াদ।
লিটনের পর ফিরলেন সাব্বিরও
পঞ্চম ওভারে বল করতে এলেন মোহাম্মদ নবী। এসেই ফেরালেন সাব্বির রহমানকে। সাব্বিরের রান তখন ১৩। ক্রিজে এসেছেন মুশফিকুর রহিম।
শুণ্য হাতে ফিরলেন লিটন
প্রথম ওভারে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাপুর জারদানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান লিটন দাস। তার ফেরার পর মাঠে ব্যাট করছেন তামিম-সাব্বির।
এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের ২য় টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রথম ম্যাচে টস জিতে বোলিং নিয়েছিলেন সাকিব। ওই ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৪৫ রানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ব্যাটিং-বোলিংয়ে ওই ম্যাচে পুরোপুরিই ব্যর্থ হয় টাইগাররা। সিরিজে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ এখন কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে। হারলেই হাতছাড়া হবে সিরিজ। তবে, প্রথম ম্যাচে টিম বাংলাদেশের যে পারফরমেন্স, তাতে সিরিজ বাঁচানো কঠিনই হবে।
এই ম্যাচে জয় পেলে সিরিজে টিকে থাকবে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে ব্যার্টিং, বোলিং আর ফিল্ডিয়ে ভালো করার তাগিদ দিয়েছেন সাকিব। অন্যদিকে, সিরিজ জিততে লড়বে রশিদ খান আর মুজিব উর রহমানরা।
পিডিএসও/রিহাব