সাকিব-রশিদে ফাইনালে হায়দরাবাদ
কলকাতা ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচেই হেরেছে। প্রথম ম্যাচে হারের বদলা নিয়েছিল কলকাতা হায়দরাবাদের মাঠে জিতে। কিন্তু এবার সাকিব-রশিদ খানের কাছে হেরে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল তাদের। আর কলকাতার মুখোমুখি প্রথম ম্যাচের ন্যায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও দারুণ খেলেছেন সাকিব। বুঝিয়ে দিয়েছেন সাতটা বছর কলকাতা দলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন তিনি।
ব্যাট হাতে সাকিব পরপর সুনিল নারাইনকে দু্ই চার মেরে ঝড়ের আভাস দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের প্রয়োজনে ২৪ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান। এরপর বল হাতে ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নিয়েছন ১ উইকেট। তবে সাকিবের নেওয়া দিনেশ কার্তিকের উইকেটটি হায়দরাবাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কলকাতা অধিনায়ককে আউট করে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে উল্লাস করেন সাকিব। যেন নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল হারা, কলকাতা দলে না থাকা সব রাগ কার্তিককে আউট করে ঝাড়লেন বামহাতি অলরাউন্ডার।
তবে এ ম্যাচে সাকিবকে ছাড়িয়ে নায়ক রশিদ খান। ব্যাট হাতে তিনি যেন আফগানদের সাহসী ক্রিকেটের প্রতীক হয়ে দাঁড়ালেন কলকাতার বিপক্ষে। মাত্র ১০ বল খেলে করেছেন ৩৪ রান। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। তার উপরে কেবল সাহা ৩৫ রান করেন। এছাড়া অন্য ওপেনার শেখর ধাওয়ান করেন ৩৪ রান। কিন্তু রশিদের ওই ঝড়ো ৩৪ রানেই ১৭৫ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ।
এরপর বল হাতে ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৯ রান। নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া ২৪ বলের মধ্যে ১২ টি ডট বল দিয়েছেন এই আফগান বিস্ময়। তার ম্যাচ সেরা ব্যাটিং-বোলিংয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ১৩ রানে জিতেছে হায়দরাবাদ। ১৭৫ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ১৬১ রান তুলতে পারে কলকাতা।
কলকাতার হয়ে ক্রিস লিন ৩১ বলে ৪৮ রান করেন। নারাইনের ১৩ বলে ২৬ রানের ঝড় শুরুতে ভয়ই দেখিয়েছিল হায়দরাবাদকে। ১১৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও দারুণ প্রতিযোগিতা করেছে কলকাতা। ২০ বলে ৩০ রান করা গিল তো ভয়ই দেখাচ্ছিল। কিন্তু ব্র্যাথওয়েটের করা শেষ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কলকাতাকে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাইয়ের সঙ্গী হলো হায়দরাবাদ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাইয়ের কাছে হারা হায়দরাবাদ আগামী রোববার আবার মুখোমুখি হবে। তবে এবারের লড়াইটি হবে ফাইনালের শিরোপা জেতার।
পিডিএসও/রিহাব