ঢাকা টেস্ট
চালকের আসনে লঙ্কানরা
সিরিজ নির্ধারণী ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ২২২ রানের জবাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১১০ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ তিন রানে পাঁচ উইকেটের পতন ঘটে। ১১২ রানের লিড নিয়ে চালকের আসনে লঙ্কানরা।
চার উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম সেশনও পার করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। শুরুতেই আউট হয়ে যান লিটন দাস। ২৭তম ওভারে সুরাঙ্গা লাকমলের বল লিটনের (২৫) ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। একই ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৭) ও সাব্বির রহমানকে (০) ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন টেস্ট অভিষিক্ত আকিলা ধনাঞ্জয়া। তার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন আব্দুর রাজ্জাক (১)।
প্রথম দিনের শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। একে একে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল (৪), মুমিনুল হক (০, রানআউট), মুশফিকুর রহিম (১) ও ইমরুল কায়েস (১৯)। ২২ ওভারের খেলা শেষে লিটন ২৪ ও ৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। পেসার সুরাঙ্গা লাকমল দু’টি ও অন্য উইকেটটি নেন অফস্পিনার দিলরুয়ান পেরেরা।
এরআগে আব্দুর রাজ্জাকের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন দেখে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দীর্ঘ চার বছর টেস্ট দলে ফিরেই নিজের জাত চেনান ৩৫ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। বল হাতে ইনজুরি আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের অভাবটা পুষিয়ে দিয়ে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মালিক। ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তুলে নেন চারটি উইকেট।
রাজ্জাককে যোগ্য সঙ্গ দেন আরেক বাঁহাতি তাইজুল ইসলাম। মাঠছাড়া করেন চার লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে। দু’জনের স্পিন ঘূর্ণিতে প্রথম দিনেই ৬৫.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপ। অপর দু’টি উইকেট লাভ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। উইকেটশূন্য থাকেন মিরাজ।
সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে ওপেনার কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। ৫৬ রানের কার্যকরী ইনিংসে দলীয় স্কোর দুইশ পার করাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রোশেন সিলভা। শেষদিকে সিলভার পাশে থেকে অবদান রাখেন দিলরুয়ান পেরেরা (৩১) ও টেস্ট অভিষিক্ত আকিলা ধনাঞ্জয়া (২০)।
পিডিএসও/হেলাল