চট্টগ্রাম টেস্ট
মুমিনুলের ফিফটি, বড় ইনিংসের পথে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে দাঁড়িয়ে গেছেন মুমিনুল হক। ব্যাটে সেই শিল্প। মাটি কাঁমড়ানো শট। ৫৯ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফসেঞ্চুরি। মুমিনুলের ব্যাটে বাংলাদেশও বড় ইনিংসের ভরসা পাচ্ছে। মুমিনুল হক সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। চমৎকার ফুটওয়ার্ক, দ্রুত শট সিলেকশনের অসাধারণ ক্ষমতা, লড়াকু মনোভাব, ধৈর্য—এসব গুণ মুমিনুলকে দেশসেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান বানিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু গত কিছুদিন ধরে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে বাদও পড়তে হয়েছিল। একসময় টানা ব্যাট হাসতো তার। কিন্তু হঠাৎ তার ব্যাটে রান খরা। চট্টগ্রাম টেস্টের আগে ১১ ইনিংসের মধ্যে মাত্র হাফসেঞ্চুরি করেছেন একটি। একসময় ৫০-এর উপরে গড় থাকা মুমিনুলের গড় নেমে যায় ৫০-এর অনেক নিচে। তবে এরই মাঝে গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রানের লড়াকু এক ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তো আরও সাবলীল মুমিনুল। সেই পুরনো ছন্দ। বেশ মেরেও খেলছেন। মুমিনুলের সঙ্গে ভালো ব্যাট করছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও।
২ উইকেটে ১২০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ভালোই খেলছিলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। তামিমের সঙ্গে ৭২ এবং এরপর মুমিনুলের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ার পর ব্যক্তিগত ৪০ রান করে আউট হন ইমরুল। সকাল সেশন ৩০ ওভারের। কিন্তু ২৭.৪ ওভারে লাঞ্চ বিরতি দিয়ে দেন দুই আম্পায়ার। ২৭ ওভারের চতুর্থ বলে ইমরুল ফিরে যাওয়ায় একটু আগেই লাঞ্চ বিরতি দিয়ে দেন আম্পায়াররা।
তামিম- ইমরুলে ভালো শুরু হয় সকালে। ওয়ানডে স্টাইলে খেলছিলেন তামিম। ৪৬ বলে তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের ২৫ তম হাফ-সেঞ্চুরি। কিন্তু এর পরপরই আউট হয়ে যান। ৫৩ বলে ৫২ রান করে পেরারার বোলে বোল্ড হন তিনি।
পিডিএসও/হেলাল