আকাশ থেকে মাটিতে মাশরাফিরা!
আকাশ থেকে মাটিতে নামলো মাশরাফি বাহিনী। ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে আগের তিন ম্যাচ দুর্দান্ত খেললেও চতুর্থ ম্যাচে এসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের বাজে এক লজ্জাই পেল বাংলাদেশ। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই বোনাসসহ ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে লিগ পদ্ধতির শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটে হার মানে টাইগাররা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এ জয়ের ফাইনাল নিশ্চিত করলো হাথুরুর শিষ্যরা। ২৭ জানুয়ারি শের-ই-বাংলায় ফাইনাল হবে। ফলে বিদায় নিলো সিরিজের আরেক দল জিম্বাবুয়ে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ ২৪ ওভারে মাত্র ৮২ রানে সবকটি উইকেট হারায়। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এটি নবম সর্বনিম্ন স্কোর। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১১.৫ ওভারে জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা।
মাত্র ৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মকই খেলে শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও দানুসকা গুনাথিলাকা। ৩৬ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন গুনাথিলাকা। আর সমান ৩৬ বলে তিনটি ছক্কায় ৩৪ করে থারাঙ্গা।
এরআগে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল ও এনামুল হক মাঠে নামেন। তবে দলীয় তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে ফিরে যান এনামুল। সুরাঙ্গা লাকমালের বলে বোল্ড হন এ ডানহাতি। পঞ্চম ওভারে রান আউটের শিকার হন সাকিব। নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে এক রানের জন্য দৌড়ালে গুনাথিলার থ্রোতে স্ট্যাম ভেঙে যায়। ব্যক্তিগত ৮ রানে বিদায় নেন সাকিব।
একই ওভারের পঞ্চম বলে বিদায় নেন আগের তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা তামিম। লাকমালের বাউন্স বলে গুনাথিলাকাকে ক্যাচ দেন তিনি। ১৪ বলে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলীয় ৩৪ রানে মাহমুদউল্লাহ আউট হলে আরও বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। লাকমালের তৃতীয় শিকার হয়ে চামিরাকে ক্যাচ দেন তিনি। ২০ বলে ৭ রান করেন তিনি।
পিডিএসও/হেলাল