reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ আগস্ট, ২০১৭

কম্পিউটার কিবোর্ডে টয়লেটের চেয়ে বেশি জীবাণু!

কম্পিউটার কিবোর্ডে টয়লেটের চেয়েও দেড়শ’ গুণ বেশি জীবাণু থাকে বলে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস শরীর সুস্থ থাকা না থাকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। টয়লেট সিটে যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে, তার থেকে প্রায় ১৫০ গুণ বেশি জীবাণু বাসা বেঁধে থাকে কম্পিউটার কিবোর্ডে। আর এই পরিমাণ জীবাণুর মধ্যেই সব সময় আমাদের আঙুল চলতেই থাকে। সেগুলি মুখের অন্দরে প্রবেশ করে সরাসরি চলে যায় শরীরের ভিতরে। তারপর ধীরে ধীরে শরীরকে কোরে তোলে অসুস্থ। সিবিটি নাগেটস এই প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের কিবোর্ড একটি সাধারণ টয়লেটের সিটের তুলনায় ২০ হাজার গুণ নোংরা। এ তালিকায় রয়েছে স্মার্টফোনও। গবেষকরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের কিবোর্ড সাধারণ টয়লেটের সিটের তুলনায় নয় হাজার গুণ বেশি নোংরা।

এই ব্যাকটেরিয়াটি একবার যদি শরীরে প্রবেশ করে যায় তাহলে বেজায় বিপদ! কারণ এর কারণে রক্ত পায়খানা, ডায়রিয়া, কিডনি ফেইলিওর, এমনকি অ্যানিমিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এদিকে ত্বকের সংক্রমণ, ব্রণ, ফলিকিফলিটিস, কার্বোঙ্কল, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, অস্টিওমায়ালাইটিস, এন্ডোকার্ডাইটিস, টক্সিক শক সিনড্রন, সেপসিস প্রভৃতি এই জীবণুটির কারণে হতে পারে। রোগের নামগুলো দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন সবকটিই কিন্তু বেশ জটিল এবং কষ্টদায়ক রোগ।

কিবোর্ডে এত ব্যাকটেরিয়া আসে কোথা থেকে- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সমীক্ষাটি বলছে কাজের চাপের অজুহাতে অনেকেই ক্যান্টিনে খেতে যান না। পরিবর্তে কাজ করতে করতে ডেস্কেই লাঞ্চ সেরে ফেলেন। এমনটা করার সময় খাবারের টুকরো কিবোর্ডের মধ্যে পড়তে থাকে। আর সেগুলি জমতে জমতে এক সময় গিয়ে নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্যে পরিণত হয়। ফলে বাড়তে শুরু করে জীবাণুদের সংখ্যা। এক সময়ে গিয়ে এই সংখ্যাটা কয়েক লক্ষে গিয়ে পৌঁছায়।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কম্পিউটার কিবোর্ড,টয়লেটের চেয়ে বেশি জীবাণু
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist