দুদকের হটলাইনে ৫ দিনেই ব্যাপক সাড়া
চালু হওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই সারাদেশের জনগণের কাছ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুল্কমুক্ত হটলাইন নম্বর ১০৬-এর মাধ্যমে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, এই হটলাইনের মাধ্যমে কয়েক হাজার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই ভূমি অফিসের ঘুষ সংক্রান্ত।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে হটলাইন চালুর ৫ দিনের মাঝেই দুর্নীতি ও অনিয়মের কয়েক হাজার অভিযোগ পেয়েছি। এরমধ্যে সারাদেশেই বেশিরভাগ অভিযোগ এসেছে ভূমি অফিসের ঘুষ নিয়ে।
তিনি আরো বলেন, দুদকের হটলাইনের মাধ্যমে টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য)-সহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মতো কর্মসূচিতে অনেক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগগুলো সুনির্দিষ্ট নয় উল্লেখ করে প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে জনগণ বিভিন্ন ব্যক্তির অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ ও নিজেদের ব্যক্তিগত ভূমির মালিকানার ওপর সমস্যা নিয়ে অভিযোগগুলো তালিকাভূক্ত করেছেন।
তিনি জানান, দুদক কেবলমাত্র আইনের দ্বারা নির্ধারিত অভিযোগগুলোই বিবেচনায় নিয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই হটলাইন উদ্বোধন করেন।
শুল্কমুক্ত এই হটলাইন সকল কর্মদিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ করে থাকে।
দুদক অভিযোগের ধরণ ও প্রকৃতি নিয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে অভিযোগকারিদের পরিচয় গোপন রাখা। এই হটলাইনের মাধ্যমে দুদকের প্রায় ৫০ জন কর্মী অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন।
পিডিএসও/রিহাব