reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ নভেম্বর, ২০১৮

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেল ৪ কোম্পানি

৪ প্রতিষ্ঠানকে মোবাইল ফোন টাওয়ার শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স দিল সরকার। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে ইডটকো বাংলাদেশ, টিএএসসি সামিট টাওয়ারস, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধিদের হাতে এ লাইসেন্স তুলে দেন।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানে ইডটকো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল চৌধুরী, টিএএসসি সামিট টাওয়ারসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আরিফ আল ইসলাম, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান মোল্লা এবং কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিম লাইসেন্স নেন।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতে অনেকগুলো মাইলফলকের মধ্যে আরেকটি মাইলফলক অর্জন হল। আমরা হিসাব করে দেখেছি, নতুন কোনো আইনগত বিষয় অবশিষ্ট নাই। পুরনো বিষয়গুলো- যেমন আইএলডিটিএস পলিসি, টেলিকম অ্যাক্টগুলোর বিষয়ে কাজ করা দরকার।’

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানিগুলোকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘লাইসেন্সের উদ্দেশ্য মনে রাখতে হবে, এতদিন অপারেটররা টাওয়ার বানিয়ে প্রসারিত করে আসছে, তাদের কাছে অনুরোধ করব, তারা ভালোভাবে রোলআউট করবে। অপারেটররা এ খাতে বিনিয়োগ না করে সক্ষমতা বাড়াতে পারবে অন্য খাতে। অপারেটরদের সেবা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। এখানে যে বিনিয়োগ করতে হত তা কোয়ালিটি অব সার্ভিসে ব্যবহার করবেন বলে আশা করি।’

ডাক ও টেলিযোগাযাগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার কতটুকু কাজ করেছে সবাই জানে। বিটিআরসি ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মিলে যা কাজ করেছে, গত এক বছরে দৃশ্যমান যে অর্জন হয়েছে, তা অভাবনীয়। যারা লাইসেন্স পাচ্ছেন তারা এর মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে আরও অবদান রাখবেন বলে আশা করি।”

কোম্পানিগুলো কাজ শুরুর পর টেলিকম সেবা আরও উন্নত হবে আশা প্রকাশ করে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জুহুরুল হক বলেন, গাইডলাইন অনুযায়ী পাঁচ বছরের মধ্যে সব উপজেলায় যেতে হবে কোম্পানিগুলোকে।

মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় বিপুল ব্যয়ের পাশাপাশি টাওয়ারের অনিয়ন্ত্রিত সংখ্যা, ভূমি ও বিদ্যুতের সংকট ছাড়াও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাবসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নিয়ে এই লাইসেন্স দিয়েছে বিটিআরসি।

লাইসেন্স গাইড লাইন অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়ার এক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। দ্বিতীয় বছরে জেলা শহরে, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছরের ৬০ শতাংশ উপজেলা এবং পঞ্চম বছরে দেশের সব উপজেলায় টাওয়ার সেবা দিতে হবে। গাইড লাইন অনুযায়ী, টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দেওয়ার ফলে মোবাইল টাওয়ার লাইসেন্স রোল আউটের ওপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোন অপারেটররা নতুন কোনো টাওয়ার বসাতে পারবে না।

এছাড়া এক অপারেটর আরেক অপারেটরের কাছে টাওয়ার ভাড়া দিতে পারবে না। তবে তারা লাইসেন্স পাওয়া টাওয়ার কোম্পানির কাছে নিজেদের টাওয়ার বিক্রি করতে পারবে। টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য গত জুনে আট প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির কাছে আবেদন করে। ১৫ সদস্যের কমিটি মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া চারটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করে। এর ভিত্তিতে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর গত অগাস্টে চার প্রতিষ্ঠানকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের জন্য কোম্পানিগুলোকে ২৫ কোটি টাকা করে দিতে হয়েছে। ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে দিতে হয়েছে ২০ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোকে বার্ষিক নবায়ন ফি হিসেবে দিতে হবে ৫ কোটি টাকা। আর বিটিআরসির সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
টাওয়ার শেয়ারিং,লাইসেন্স,মোবাইল কোম্পানি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close