নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ অক্টোবর, ২০১৮

‘নগর অ্যাপস’ সেবা মিলছে না ঢাকায়

২০১৬ সালের ২ আগস্ট উদ্বোধন হয় একটি মুঠোফোন অ্যাপস। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাপক সাড়া জাগায় সেটি। অ্যাপসটির মাধ্যমে এলাকার রাস্তা, সড়কবাতি, বর্জ্য, ড্রেনেজ, মশা, অবৈধ দখলসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ বা মতামত সরাসরি পাঠানো যেত। পাশাপাশি মুঠোফোনে ছবি তোলার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো, সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন জোনে থাকা বড় পর্দায় প্রতিটি অভিযোগ ও মতামত দেখার ব্যবস্থাও ছিল অ্যাপসটিতে।

এ ছাড়া অভিযোগের প্রকার বিশ্লেষণ করে সিটি করপোরেশন সমাধানের যে উদ্যোগ নেবে, সেটিও জানা যেত। সমস্যার সমাধান হলে অভিযোগকারীও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয়টি জানতে পারতেন। এই ব্যবস্থা ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডিজিটাল সেবা ‘নগর অ্যাপসে’। নাগরিক সেবাবিষয়ক তথ্য ছাড়াও অ্যাপসটিতে বিভিন্ন ফিচার সংযুক্ত ছিল। গুগল প্লে-স্টোর থেকে বিনামূল্যে অ্যাপসটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে যে কেউ ব্যবহার করতে পারতেন।

অ্যাপসটি ব্যবহার করতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ লাগে। এ ছাড়া নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হলে জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল ও পাশের মানুষ সম্পর্কে পরিবারের কাছে তথ্য পাঠাতে পারতেন। ছিল হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, ক্লিনিক, পুলিশ স্টেশনসহ অন্য সেবা সংস্থার তথ্যও। প্রথম দিকে অ্যাপসটিতে নগরবাসীর ব্যাপক সাড়াও মিলেছিল। কিন্তু মেয়র আনিসুল হকের অকাল প্রয়াণের কার্যক্রমও স্থবির হয়ে যায়। নগরবাসীও আর কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না অ্যাপসটির মাধ্যমে।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, স্পন্সর না পাওয়া এবং এর জন্য সংস্থাটির নিজস্ব অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এই সেবা কার্যক্রম সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া অ্যাপসটি ক্র্যাশও করেছিল। তবে, আশার কথা অ্যাপসটিতে আরো নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি। যাত্রার শুরুতেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া অ্যাপসটি গুগল প্লে-স্টোরে যাওয়ার পর ১০ হাজার বারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) এস এম অজিয়র রহমান বলেন, অ্যাপসটি আসলেই খুবই জনপ্রিয় ছিল। এতে আরো কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করে আরো ভালোভাবে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় এ বছরের শেষ নাগাদ নতুনভাবে অ্যাপসটি ফের চালু হবে।

হাসিবুর রহমান নামে গুলশানের এক বাসিন্দা বলেন, আগে যেকোনো জায়গায় ময়লা-আবর্জনা জমলে ছবি তুলে এলাকার নামসহ নগর অ্যাপসের মাধ্যমে জানানো হলে অল্প সময়ের মধ্যে তা সমাধান হয়ে যেত।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নগর অ্যাপস,অ্যাপস,ডিএনসিসি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close