reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ অক্টোবর, ২০১৮

দেশের ১৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ১৩ শতাংশ। আর বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা রাখেন মাত্র ৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশে বর্তমানে ৭৭ শতাংশ মানুষ বেসিক ও ফিচার ফোন ব্যবহার করছে। স্মার্টফোন ব্যবহার করছে ২৩ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার এবং নেপালের চেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এশিয়ার অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে সামাজিকমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য বিশ্বাস করেন না ৬৬ শতাংশ ব্যবহারকারী। একইভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রতিবেশীদের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। হেলানি গালপায়া বলেন, যেসব দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ডিজিটাল সেবার হার ক্রমবর্ধমান অবস্থায় রয়েছে কেবল সেসব দেশের মধ্যেই এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৬৫ শতাংশ। কিন্তু লার্ন এশিয়ার গবেষণায় বলা হয়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ। অনুষ্ঠানে রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলমও জানান, রবির ডাটা সার্ভারের তথ্য অনুযায়ী সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট গ্রাহকের মাত্র ১৮ শতাংশ।

কেন তথ্যের এই তারতম্য জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফা কামাল বলেন, একজন গ্রাহক ৯০ দিন পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগে সংযুক্ত থাকলে তাকে ব্যবহারকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া বিটিআরসি বিভিন্ন অপারেটর প্রদত্ত তথ্য পর্যালোচনা করে ওয়েবসাইটে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলিও বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিতে এখন প্রায় ৩৫ শতাংশ কর। এ অবস্থায় স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি কঠিন। আবার স্মার্টফোনের ব্যবহার না বাড়লে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারও বাড়ার কথা নয়।

রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল অপারেটরদের সেবা দেওয়ার জন্য অন্যান্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সেবার মান নিয়ে দায় বহন করতে হয় শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটরদেরই। এ অবস্থার পরিবর্তন দাবি করেন তিনি।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান বলেন, লার্ন এশিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের গবেষণা দেশের টেলিযোগাযোগ খাতকে সঠিক পথ দেখাতে সহায়তা করবে।

গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লার্ন এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলানি গালপায়া। আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফা কামাল, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলিও, রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ও বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান। আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লার্ন এশিয়ার সিনিয়র ফেলো আবু সাঈদ খান। মোবাইল ফোন অপারেটরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মোবাইল অপারেটর,লার্ন এশিয়া,ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close