reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

গুগলের অবাক করা ১০ তথ্য

ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন যখন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে একটি গবেষণা প্রকল্প শুরু করেন, কেউ কি তখন ভেবেছিলেন সেটা একদিন গুগলে পরিণত হবে। গুগল আসার আগের জীবনের কথা কি আপনি মনে করতে পারেন? তখন আপনি কি করতেন, যখন হঠাৎ করে, তাড়াতাড়ি কোনো বিষয়ে তথ্য খুঁজে বের করার দরকার হতো?

যা কিছুই আপনি খোঁজেন না কেন— হয়তো একটি শব্দের সঠিক বানান, একটি রেস্তোরাঁর ঠিকানা, বিশেষ কোনো দোকান, অথবা পাহাড়ি কোনো হৃদের নাম, সবকিছুর জন্যই হয়তো আপনি এখন গুগলে সার্চ করেন। গুগল প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ৪০ হাজার অনুসন্ধানের জবাব বের করে। প্রতিদিন সাড়ে ৩ বিলিয়ন অনুসন্ধান করে। (ফোর্বসের হিসাব)।

এসব কিছুর মাঝে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র কোনো সার্চ ইঞ্জিনের চেয়েও বেশিকিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বিজ্ঞাপনী মাধ্যম, একটি ব্যবসা মডেল আর ব্যক্তিগত তথ্যের এক নিরলস সংগ্রাহক। ঠিক তাই প্রত্যেকবার যখন আমরা গুগলে কোনো অনুসন্ধান করি, গুগল আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এবং অভ্যাস সম্পর্কে খানিকটা জেনে ফেলে কিন্তু আপনি গুগল সম্পর্কে কতটা জানেন? এখানে গুগল সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য রয়েছে, যা হয়তো আপনাকে অবাক করে দিতে পারে।

১. নাম, বানান ভুল থেকেই গুগলের নামের উৎপত্তি? গুগল নামের মানে কি, আপনি জানতে চাইতে পারেন।

আসলে এর কোনো মানেই নেই।

গুগল নামটি এসেছে গাণিতিক হিসাবের গোগল (মড়ড়মড়ষ) ভুল করে লেখার মাধ্যমে। যার মানে হলো ১-এর পর ১০০টি শূন্য। এ নিয়ে এখন অনেক গল্প প্রচলিত আছে যে, একজন প্রকৌশলী বা ছাত্র আসল নামের বদলে এই ভুল বানানটি লিখেছিলেন। সেই ভুল নামই পুরো দুনিয়ার সামনে চলে আসে।

২. ‘ব্যাকরাব’ : গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম নাম দিয়েছিলেন ব্যাকরাব। যে পদ্ধতিতে একটি ওয়েবসাইট আরেকটি ওয়েবসাইটকে খুঁজে বের করে এবং সেগুলোর অতীত লিংকের ওপর নির্ভর করে ওয়েবপেজে র?্যাংকিং নির্ধারণ করে তাকেই বলা হয় ব্যাকরাব।

৩. সব কিছুই হিসাব-নিকাশ নয়। গুগলের সবকিছুই ব্যবসা নয়। সেখানে অনেক মজার ব্যাপার-স্যাপারও আছে। গুগলের সব কিছুই ব্যবসা নয়। সেখানে অনেক মজার ব্যাপার-স্যাপারও আছে।

৪. গুগলের ছাগল : গুগলের এলাকায় ঘাস একটু বেশি সবুজ। গুগল সব সময়েই বলে, তারা সবুজ উদ্যোগ সমর্থন করে। এরই একটি হলো ছাগলের মাধ্যমে লনের ঘাসকাটা। ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগল সদর দফতরের লনের ঘাসগুলো নিয়মিতভাবে কেটেছেঁটে ঠিকঠাক রাখতে হয়। সুতরাং আপনি যদি কখনো সেখানে যান, দেখতে পাবেন প্রায় ২০০ ছাগল সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর ঘাস খেয়ে লনের ঘাস ঠিকঠাক রাখছে।

৫. ক্রমবর্ধমান ব্যবসা : আপনি কি জানেন, আপনার সামাজিকমাধ্যমটির মালিক আসলে কে? জিমেইল, গুগল ম্যাপস, গুগল ড্রাইভ, গুগল ক্রোম... এসবের বাইরে ২০১০ সাল থেকে গুগল প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একটি করে কোম্পানির মালিক হচ্ছে। আপনি হয়তো টের পাবেন না কিন্তু অ্যান্ড্রুয়েড, ইউটিউব, ওয়ায, অ্যাডসেন্স এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক গুগল, এ রকম আরো ৭০টি কোম্পানি রয়েছে।

৬. ডুডল : অফিসের বাইরে বার্তা যোগাযোগের মাধ্যমে প্রথম গুগল ডুডল চালু হয় ১৯৯৮ সালের ৩০ অগাস্ট। যখন ল্যারি আর সের্গেই একটি উৎসবে নেভাদা গিয়েছিলেন, তখনি প্রথম এই আইডিয়াটি আসে। এরপর থেকেই ডুডল গুগলের একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়। বিশেষ বিশেষ দিন বা ব্যক্তিত্বের উপলক্ষে বিশেষভাবে করা শিল্প গুগলের চেহারায় ভেসে ওঠে।

৭. বিশ্বে প্রযুক্তি বাজারের বড় একটি অংশ গুগলের দখলে। ১৯৯৯ সালে ল্যারি এবং সের্গেই গুগলকে ১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটা কেনার মতো কোনো গ্রাহক ছিল না। এমনকি দাম কমিয়ে দেয়ার পরও কোনো গ্রাহক মেলেনি। এখন গুগলের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০০ বিলিয়ন ডলার। হয়তো কেউ কেউ সেই সুযোগ হাতছাড়া করার জন্য এখন আফসোস করতে পারেন।

৮. গুগলের আদর্শ : গুগলের মৌলিক আদর্শগুলোর একটি ‘কখনো দুষ্টতে পরিণত হয়ো না।’ কিন্তু এই কোম্পানি এখনো সেই আদর্শে আছে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত আপনার।

৯. গুগল কার্যালয়ে সব সময়েই সবার খাবার জন্য কিছু না কিছু রয়েছে। ফোবর্সের তথ্য অনুযায়ী, গুগলের পিতা সের্গেই ব্রিন প্রথম দিকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, গুগলের অফিস কখনোই খাবার প্রাপ্তির স্থান থেকে ৬০ মিটারের বেশি দূরত্বে হবে না। গুজব আছে যে, তখন কোম্পানির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার ছিল ‘সুইডিশ ফিশ’, একটি চিবানোর মতো মিষ্টি। কিন্তু এখন গুগলের লোকজনের জন্য নানা ধরনের মাংস আর ভালো মানের কফির ব্যবস্থা রয়েছে।

১০. কুকুর : গুগলের অফিসে নিজের কুকুর নিয়ে আসতে পারেন কর্মীরা। গুগলে যারা কাজ করেন, এমনকি যারা নতুন কাজ করতে এসেছেন, তারা সবাই নিজের কুকুর সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারে। তবে এটা প্রমাণ করতে হবে যে, তারা অফিসের ধরনের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত, যেখানে সেখানে হাগুমুগু করে নোংরা করবে না। নিউইয়র্কের গুগলের অফিসে লেগোর জন্য আলাদা একটি বিভাগ রয়েছে। যদিও গুগলের ইনডেক্স সেই ১৯৯৯ সালের তুলনায় এখন ১০০গুণ বড় কিন্তু এটি ১০ হাজার গুণ বেশি গতিতে আপডেট করা হচ্ছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গুগল,তথ্য,গুগল অ্যাপস,গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close