সর্বজনীন ভাষা হয়ে উঠছে ইমো
মনের ভাব প্রকাশ করতে আমরা ভাষা ব্যবহার করি। কিন্তু ভাষারও রকমফের আছে। কখনো লিখে, কখনো অঙ্গভঙ্গি দিয়ে; আবার কখনো শব্দ করে। আবার নীরবতার মাধ্যমেও আমরা ভাব প্রকাশ করি। ভাষার লিখিত রূপের প্রকাশ মূলত শুরু হয়েছে চিহ্ন দিয়ে। আর এই চিহ্নের দ্বারাই প্রাচীনকাল থেকেই আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছি। ভাষার লিখিত রূপের আগে সাংকেতিক চিহ্নে মনের ভাব প্রকাশ চলত।
ক্রমে ভাষার রূপও বদলে গেছে। এখন প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের যুগ। সবার হাতে হাতে মুঠোফোন। জীবনের অনেকটাজুড়ে আছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসআপ, ভাইবার ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতিনিয়তই ম্যাসেজ পাঠাচ্ছি, পাচ্ছি। অনেক সময় কোনো বাক্য ব্যয় না করে একটি ইমো দিয়েও জানিয়ে দিচ্ছি মনের ভাব। প্রশ্ন উঠেছে, নতুন এ সাংকেতিক ভাষা ইমো কি শুধুই মজা করার জন্য?
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ইমো শুধুই মজার জন্য নয়, শুধু মজার একটি ছবি নয়। ইমো ভাষার বিভিন্ন অর্থ বহন করে, বাক্যের ব্যাখ্যা বদলে দেয়। কখনো কখনো এটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য হয়ে ওঠে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর ডিগ্রির শিক্ষার্থী বেঞ্জামিন ওয়েসম্যান এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। ইমো নিয়ে তার মত, ইমো এখন সর্বজনীন ভাষা হয়ে উঠছে। সর্বত্রই এটি দেখা যায়। মানুষ বার্তা পাঠানোর সময় ইমো ব্যবহার করে। অনলাইনের ভাষা হিসেবেও এটি ব্যবহৃত।
মানুষ মজাদার কোনো ঘটনাকে প্রকাশ করার জন্য বাক্যের পরিবর্তে ইমো দিয়ে প্রকাশ করছে। শুধু মজার জন্যই নয়, নানা ধরনের ইমো আছে। ভালোবাসা, আনন্দ, এমনকি বেদনার ভাষাও এখন ইমো।
গবেষকরা বলছেন, শুধু শব্দ বা ইমো ব্যবহারের চেয়ে শব্দের সঙ্গে ইমো জুড়ে দিলে তা যোগাযোগে দারুণ প্রভাব ফেলে।
তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে, ইমো শুধু মজার জন্যই নয়; আমাদের ইচ্ছে-অনিচ্ছে, ভালোবাসা, বেদনা, এমনকি সাময়িক নীরবতার ভাষাও হয়ে উঠছে ইমো। শব্দ বা বাক্যের সঙ্গে ইমো জুড়ে দিলে তা হয়ে উঠছে আরো অর্থবহ।
পিডিএসও/তাজ