ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে
ভ্যাট হচ্ছে ৫ শতাংশ
অবশেষে সেই বহুল প্রতীক্ষিত সুখবর এলো। ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ধার্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এই সিদ্ধান্তে এখন থেকে ১০০ টাকায় যে ১৫ টাকা ভ্যাট দিতে হতো গ্রাহককে, এখন থেকে দিতে হবে পাঁচ টাকা। সব ধরনের ইন্টারনেটের ওপর এটা প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার সচিবালয়ে মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদে বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি ভ্যাট পাঁচ শতাংশ করে ফাইলে সই করেছেন। ফলে এখন থেকে ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট পাঁচ শতাংশ। তিনি আরো বলেন, ‘বাজেট পাসের দিনই প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেবেন। এরপরই এটি কার্যকর করা হবে।
প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বেলা একটা সাত মিনিটে অর্থমন্ত্রীর অফিসে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। একটি অসাধারণ অর্জন দিয়ে দিন শুরু করলাম। একবারেই ১০ শতাংশ খরচ কমবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের।
প্রসঙ্গত, ইন্টারনেট থেকে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর), শুল্ক ও সারচার্জ বাবদ গ্রাহকের খরচ হয় ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ অর্থ। এর মধ্যে ভ্যাট ১৫ শতাংশ। এসব থেকে সরকারের বছরে আয় হয় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাটের বিষয়ে কোনো সুখবর ছিল না। এর আগে দেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সাত সংগঠন যৌথভাবে কর ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল।
পিডিএসও/তাজ