প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
একাকিত্বে ভুগছে ফেসবুক প্রজন্ম!
একটা সময় ছিল যখন পাড়া-মহল্লার সমবয়সীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হতো। পড়াশোনা করলে খুব বড়জোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বন্ধু পাওয়া যেত। কিন্তু আজকের দিনের ছেলেমেয়েদের জন্য এই বন্ধু ও বন্ধুত্বের সীমা অনেকখানি অতিক্রম করে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবাদে নানা বয়সের, নানা পেশার হাজারো বন্ধু আছে তাদের। তাই দিনের একটা লম্বা সময় তারা মুখগুজে থাকেন ফেসবুকে। ভোগেন একাকিত্বে। সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এই গবেষণাটি করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সিগনা’।
১৮ এবং তার ওপরের বয়সী প্রায় ২০ হাজার আমেরিকানের মধ্যে তারা এ গবেষণা করে। গবেষণার জন্য তারা মানুষকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে। সবচেয়ে কম বয়সী দলটি ছিল ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের মধ্যে। এই বয়সীরা বয়স্কদের চেয়ে বেশি একাকিত্বে ভোগে, এমনকি ৭২ বছরের বেশি বয়সীদের চেয়েও।
এই মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে শতকরা ৪৬ জন কখনো কখনো বা সব সময় একাকিত্ব বোধ করে। প্রতি চারজনে একজন মনে করছে, তাদের কেউ বোঝে না। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শারীরিক বা মুখোমুখি যোগাযোগ না থাকাই এই একাকিত্বের মূল কারণ। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র শতকরা ১২ ভাগ মানুষ প্রতিদিন অন্যদের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। আর প্রায় অর্ধেক মানুষ রয়েছে যারা কখনোই মানুষের সরাসরি সান্নিধ্যে যায়নি।
গবেষণা ফলে দেখানো হয়, এই মানুষ, মানুষের সান্নিধ্যে থাকা ওই ১২ ভাগের তুলনায় অনেক বেশি একাকিত্বে ভোগে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, দেশটির ২৪ লাখ ৪ হাজার মানুষ দীর্ঘস্থায়ী একাকিত্বে ভুগছে। এ কারণে মানুষের ক্লান্তি সৃষ্টিকারী হরমোনসহ নানা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যার কারণে হৃদরোগ, আর্থাইটিস, ডায়াবেটিকসহ স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে।
পিডিএসও/তাজ