নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

ইন্টারনেটে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি

আইটি খাতে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা, উৎসে ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করে বেসিস

ভ্যাট আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য হয়। এছাড়া আইটি খাতে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা, ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট বাজেটের ৫ শতাংশ প্রযুক্তি খাতে খরচের বাধ্যবাধকতা রাখা, উৎসে ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করে সংগঠনটি।

সম্প্রতি এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যালস, কম্পিউটার, আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এসব দাবি উপস্থাপন করেন।

প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় বেসিস জানায়, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত থেকে আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের কোম্পানিগুলোকে রফতানিতে নগদ অর্থ প্রণোদনা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই এই খাতে ২০ শতাংশ নগদ অর্থ প্রণোদনা রাখা প্রয়োজন বলে বেসিস মনে করে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক মোট বাজেটের ন্যূনতম ৫ শতাংশ অর্থ সফটওয়্যার ও আইটিএস খাতে খরচ করার বাধ্যবাধকতার বিধান অন্তর্ভুক্তিকরণ। এতে করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিত হবে এবং অনেক বড় দেশীয় বাজারের সৃষ্টি হবে।

এছাড়া স্থানীয় সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অপর স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবার ওপর আরোপিত উৎসে মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটি বলেছে, গত ১ জুলাই ভ্যাট সম্পর্কিত ঘোষিত সাধারণ আদেশে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হারে উৎসে মূসক কর্তন আরোপিত হয়। যা তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিকাশে অন্তরায়। তাই ওই ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

এনবিআর থেকে ট্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়া অত্যন্ত সময়ক্ষেপণকারী হিসেবে আবেদনকারী সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় অভিযোগ করে থাকে। অনেক সময় মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইন্টারনেট,ভ্যাট প্রত্যাহার,বেসিস,ইন্টারনেট ব্যবহার,উৎসে ভ্যাট প্রত্যাহার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist