ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধেই ডিজিটাল আইন : জয়
স্বাধীন মত প্রকাশ বন্ধ করতে ডিজিটাল আইন করা হয়নি বরং সংখ্যালঘুদের রক্ষা করাসহ ইন্টারনেটে বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করতেই এ আইন করা হয়েছে। বাক-স্বাধীনতার নামে যারা সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী নির্যাতন উসকে দেয় তাদের রুখবে এ আইন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেছেন।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত 'বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৮' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ সময় কোটা বিষয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, কোটা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ৩-৪ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আইসিটিতে রয়েছে লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ। সরকারি চাকরিতে এতো সুযোগ নেই। তাই সরকারি চাকরির আশায় বসে না থাকে এবং ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সিং খাতকে আরও কীভাবে ভালো করা যায় সে বিষয়ে বিশ্বকে জানানো হবে এবং সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে। দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা এ সামিটে অংশ নিয়েছেন।
সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ।
পিডিএসও/তাজ