‘দুই এমপি সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে অন্যতম বাধা’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। বুধবার বিকালে সংলাপে অংশ নেয় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। সংলাপে কমিশনের কাছে ২২ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে দলটি। গণফোরামের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাসহ কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপ শেষে ড. কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকবে ও যে প্রশাসন থাকবে তাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আমরা কমিশনকে বলেছি- যেন আইনের সঠিক প্রয়োগ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘দুই এমপি’ সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে অন্যতম বাধা। একটা ‘মানি পাওয়ার (অর্থের দাপট)’ আর অন্যটি ‘মাসল পাওয়ার (পেশিশক্তি)’। এ ‘দুই এমপি’র জন্য দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে।
ড. কামাল বলেন, ‘দুই এমপি আমাদের গণতন্ত্রকে যে আঘাত দিয়েছে তা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছি ৪৬ বছর। দুই এমপি থেকে জনগণ তাদের ভোটাধিকার বাঁচাতে চায়। কিভাবে দুই এমপি থেকে বাঁচা যাবে সেজন্যে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’ কমিশন গণফোরামের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেছে এবং প্রশংসা করেছে দাবি করেন তিনি জানান, প্রশাসনকে কিভাবে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করবে তা আলোচনা করেই নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতেও কথা হবে। প্রশাসনকে হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে হবে।
গণফোরামের দেয়া ২২ দফা দাবির অন্যতম হচ্ছে- প্রবাসীদের ভোটাধিকার, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি, কালো টাকার খেলা বন্ধ, ঋণ খেলাপিদের জামিনদারকে নির্বাচনে অযোগ্য, নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
ভোটে সেনা মোতায়েন চান কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, ‘আইনি সংজ্ঞায় রাখতে বলেছি আমরা। তবে যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই সেনা মোতায়েন করতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীকে ইসির নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’
পিডিএসও/রিহাব