সিইসি প্রসঙ্গে বোল পাল্টেছে বিএনপির!
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার বিষয়ে বোল পাল্টে গেছে বিএনপির। আজ সোমবার তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পর সুর পাল্টে তাকে সজ্জন ব্যক্তি বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। অথচ দায়িত্ব নেওয়ার আগ থেকে নূরুল হুদাকে নিয়ে নান প্রশ্ন তুলেছিল বিএনপি। গত মাসে দায়িত্ব নেওয়ার আগে এই নূরুল হুদাকেই আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের মতোও বলেছিলেন এই রিজভীই। আর তার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ লোক। এমফ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও আবুল খায়ের ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। আজ বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি পৌনে ৪টার দিকে শেষ হয়। আগামী ৩০ মার্চ এ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, সিইসি একজন সজ্জন ব্যক্তি, চাকরি জীবনে সর্বোচ্চ জায়গায় উপনীত হয়েছেন। এ ধরনের একজন মানুষ কখনোই অবান্তর কথা বলবেন না। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে বিএনপির নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সিইসি যে কথাগুলো বলবেন, যে আশ্বাস দেবেন, সেগুলো কার্যকর হবে এবং তা যুক্তিসঙ্গত বলেই আমরা মনে করি। কুমিল্লায় যে অনাচারগুলো হচ্ছে তা বন্ধ করবেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন- এই প্রত্যাশা সিইসির কাছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির ভূমিকা বিএনপির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে রিজভীর কথায় ইঙ্গিত রয়েছে। তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন বর্তমান ইসির কাছে একটা অগ্নিপরীক্ষা। এ ইসির প্রতি অনেক রাজনৈতিক দলের নানা প্রশ্ন রয়েছে। এ পরীক্ষা পাস করলে রাজনৈতিক দলগুলো ইসির প্রতি আস্থা পাবে। তিনি বলেন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে, তাতে স্থানীয় প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সিইসিকে বলেছি আমরা।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে আজ আলোচনা করতে যায় বিএনপির ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন রিজভী। প্রথম বৈঠকে প্রায় আধা ঘণ্টা বিএনপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন নূরুল হুদা। এই সময় অন্য কোনো কমিশনার কিংবা ইসি সচিবও ছিলেন না। অবশ্য আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেছিলেন, সিইসি বলেছেন, কুমিল্লা থেকেই গণতন্ত্র চর্চা শুরু করতে চান। সিইসির বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
প্রসঙ্গত আগামী ৩০ মার্চ অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে ৩ দফা দাবি তুলে ধরে বিএনপি প্রতিনিধি দল। এর মধ্যে রয়েছে- নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধ, মিছিলে বাধা না দেওয়া, নতুন কোনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করা।পিডিএসও/মুস্তাফিজ