শুঁটকির নৌকায় বিড়াল পাহারাদার : গয়েশ্বর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে আলোচনায় বসি নাই। দলের মধ্যে নানা রংয়ের লোক আছে, নানা মতের লোক আছে, বিষয়টা আমরা জানি না। পত্রিকার ভাষায় যেটা আসছে সেটা দেখে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব। কারণ শুটকির নৌকায় বিড়াল পাহারাদার রাখলে কী হবে সেটা আপনারা জানেন। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শেখ হাসিনার অধীনে যদি নির্বাচনেই যাব তবে ২০১৪ সালেই আমরা নির্বাচনে যেতে পারতাম। তখন যেহেতু যাইনি তাহলে আবার পাঁচ বছর পরে যাব কেন?’
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত দলের প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শনিবার সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) রকিবউদ্দীনের (সাবেক নির্বাচন কমিশনার) মতোই কাজ করবেন। কারণ আগের হাল যেদিকে যায়, পিছনের হাল তো সে দিকেই যায়। আমরা নতুন করে এ নির্বাচন কমিশনারের কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না। কারণ রকিবউদ্দীনের মতোই তারা কাজ করবে।’
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে পর পর দুই বার অংশ না নিলে বিএনপির নিবন্ধন থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘সংবিধানের আলোকে পর পর দুই বার নির্বাচনে না গেলে নিবন্ধন বাতিল হয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন, সংসদীয় যে প্রতীকগুলো ছিল, সেগুলো শুধু সংসদ নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আজকে নৌকা আর ধানের শীষ স্থানীয় নির্বাচনেও বরাদ্দ হচ্ছে। আজকেও ধানের শীষে আমাদের এক প্রার্থী নির্বাচন করছেন। যখন এটি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবহার হয় তখন জাতীয় সংসদের সিদ্ধান্ত টিকে না।’
‘নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যায়নি। আর আগামী নির্বাচনেও ভোটাররা যাবে না। এ ধরনের নির্বাচন করে যদি তারা টিকে থাকতে চায়, তবে চেষ্টা করুক।’
‘সরকারতো খালেদা জিয়ার মামলার রায় দিচ্ছে না, রায় দিচ্ছেন আদালত’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদালত তো মামলা দেয়নি, মামলা দিয়েছে সরকার। সরকার যখন মামলা দিয়েছে তখন সেটির একটা উদ্দেশ্য আছে। আদালতে দলমত দেখা হয়, আমরা আদালতে হাজিরা না দিলে জামিন না দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। আর সরকারের দুইজন মন্ত্রী মামলা নিয়েও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই ওবায়দুল কাদেরের কথা এখানে ধোপে টিকে না। এটি রাজনৈতিক মামলা, আর আমরাও তা রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করব।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালম আজাদ, তাঁতী দলের নেতাকর্মীরা।
পিডিএসও/রিহাব