ঢাবি প্রতিনিধি
শহীদ সেলিমকন্যার অভিযোগ : পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত আমি
জেনারেল এরশাদের শাসনামলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ট্রাকচাপায় নিহত ইব্রাহিম সেলিমের একমাত্র সন্তান ডরোথী ইব্রাহিম বলেছেন, বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি।
তিনি আরো বলেন, আমার ছোটো চাচা ইব্রাহিম ফারুক ও তার স্ত্রী আমাকে আমার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে তা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। তারা আমার দাম্পত্য জীবনেও বিভিন্নভাবে অশান্তি সৃষ্টি করছেন।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক তাকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ট্রাকচাপায় নিহত হন ঢাবির ছাত্র ইব্রাহিম সেলিম। তার একমাত্র কন্যা ডরোথী ইব্রাহিম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডরোথী ইব্রাহিম বলেন, আমার বাবা যখন শহীদ হন, তখন আমার বয়স মাত্র ৬ মাস। আমার মা আমাকে নিয়ে চরম অসহায় জীবনযাপন করেছেন। বিভিন্ন লাঞ্চনা, বঞ্চনা আর দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে আমার মা আমাকে বড় করে তুলেছেন। আমার চাচা কিংবা বাবার বাড়ির কোনো আত্মীয়-স্বজন সহযোগিতার হাত বাড়াননি।
ডরোথী অভিযোগ করেন, চাচা ইব্রাহিম ফারুক ও তার স্ত্রী তার পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে তাকে একাধিকবার হত্যা করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমার চাচা ও তার স্ত্রী আমাকে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছেন। এমনকি আমার বিয়ের রাতেও আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন তারা। এ বিষয়ে আমি পটুয়াখালী জেলাধীন আমার নিজ এলাকার বাউফল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
ইব্রাহীম সেলিম শহীদ হওয়ার ৩৬ বছর পরও তার স্মৃতি রক্ষার্থে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি উল্লেখ করে ডরোথী বলেন, আমার বাবার বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী ঢাবির ক্যাম্পাসে মাস্টারদা’ সূর্যসেন হলের সামনে বাবার নামে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করার দাবি জানাচ্ছি।
পিডিএসও/তাজ