বদরুল আলম মজুমদার

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২০

উত্তর সিটির ৫২ নং ওয়ার্ড

আগেই জিতে আছেন আওয়ামী লীগের ফরিদ

ঢাকা উত্তর সিটির গত নির্বাচনে এখানে বিজয়ী হয়েছিলেন আলহাজ্ব ফরিদ আহমেদ। তিনি তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। গত নির্বাচনে এখানে প্রায় ৯ জন প্রার্থী মাঠে থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করেছেন। সে সময়ের প্রার্থীদের সবাই ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নাই, তাই সেবার নিজেদের লড়াইয়ে ঠিক কয়েকটা ভোটের ব্যবধানে জয় পান ফরিদ। এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তিনিই দলের মনোনীত প্রার্থী। তিনি ছাড়া আরও অনেকে এখানে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। দল না দিলেও বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য তৈরি ছিলেন অন্তত দুইজন স্থানীয় নেতা। কিন্তু এবার নির্বাচন করা হয়ে উঠেনি তাদের। যদিও গত নির্বাচনের প্রর্থীদের অনেকেই নির্বাচনটিকে ‘মেকানিজমের ফল’ দাবি করে থাকলেও এবার আর ভোটে-ই আসেননি তারা। অনেকে এটাতে দলীয় সিন্ধান্তের প্রতি ‘আনুগত্য’ দেখলেও নির্বাচন করার ‘আক্ষেপ’ টা তাদের রয়েই গেছে।

এবার উত্তর সিটির নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছে বিএনপি। বিএনপির হয়ে এখানে নির্বাচন করছেন তুরাগ থানা যুবদলের সভাপতি মাহমুদুল হাসান আলমাস। তিনি শেষ পর্যন্ত এখানে নির্বাচন করতে চাননি। কিন্তু দলের কোনও প্রার্থী না থাকায় তার হাতেই উঠে দলীয় মনোনয়ন। নির্বাচন না করতে চাইলেও আলমাসই হচ্ছেন এ ওয়ার্ডের ধানের শীষের আপাতত কাণ্ডারি। নির্বাচন নিয়ে তরুণ এ নেতার খুব একটা বেশি তোড়জোড় দেখা যায় না। এলাকায় পোষ্টার-ফেষ্টুনও তেমন একটা চোখে পড়ে না। তাই বিএনপি দলীয় অনেকে বলছেন, ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট রাখাটাই এখন এ তরুণ নেতার বড় চ্যালেঞ্জ। এ নিয়ে বিএনপির একজন নেতা প্রতিবেদককে বলেন, আলমাস নিজের নির্বাচন নিয়ে খুব একটা সক্রিয় নেই। প্রচারণার শুরুর দিকে কিছু পোষ্টার মাঠে দেখা গেলেও এখন সেগুলোও নেই। আসলে সে নির্বাচন করার জন্য আসেনি। এখানে বিএনপির আসল শক্তিধর নেতারা সাহস পাননি নির্বাচন করতে। তাই কমিশনারতো গেলো, এখন মেয়রের ভোটগুলোও যেতে বসেছে। এটা নিয়ে থানার নেতাদের অবশ্যই ভাবতে হবে।

বৃহত্তর উত্তরা এলাকায় আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্ধি হচ্ছে বিএনপি। এ ওয়ার্ডের রাজনীতিতে বিএনপি একেবারেই অনুপস্থিত। তাই সুবিধার ষোল আনাই ওসুল করছে আওয়ামী লীগ। দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ফরিদ আহমেদ যেমন রিল্যাক্স আছেন, ঠিক তেমনি মেয়র পদের প্রতীক ‘নৌকার’ কর্মী সমর্থকরাও আছেন ফুরফুরে মেজাজে। এমন অবস্থায় বিএনপির লোকেরাও মেজাজে মননে এ ওয়ার্ডটি যেন আওয়ামী লীগকে ওর্য়াক ওভার দিয়েই দিয়েছেন। এখন দুই দলের নেতারাই এ ওয়ার্ডের নির্বাচনকে ‘ফানসে’ ভাবছেন। ভোটের মাঠ ফানসে গেলেও, ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এবারও জয় নিয়ে টানা ৬ বছরের জন্য ওয়ার্ডের পিতার আসনে বসতে যাচ্ছেন সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিটি নির্বাচন,আওয়ামী লীগ,ফরিদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close