নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২০

উত্তর সিটি ওয়ার্ড-৫১

শরিফের সামনে বাধা হতে পারবেনা আবুল!

উত্তরা সিটির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়েই উত্তর সিটির ৫১ নং ওয়ার্ড গঠিত। এখানকার অধিকাংশ ভোটার মডেল অধিবাসী হলেও নিন্ম আয়ের ভোটার প্রায় ৫ হাজারের অধিক। প্রতিবারের নির্বাচনে এসব ভোটারদের নানা লোভে বা বিশেষ অনুরোধে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রয়োগ করতে দেখা গেছে। আর এসব ভোট অনেকটা বাচ-বিচার না করেই ‘গাইডেড’ পথে দিয়ে যেত। এবারও এই ভোটের উপর ভর করে স্থানীয় আবুল হোসেন মেম্বার-এর ‘ভোটের নেশা’ পেয়ে বসেছে বলে অনেকের মত। ঠিক নয় মাস আগে স্থানীয় উপনির্বাচনে আবুল মেম্বার এর প্রমাণও রেখেছিলেন। কিন্তু এবার ইভিএম পদ্ধতির ভোটে আবুলের সেই ভরসার জায়গা ঠিক মতো ‘ক্লিক’ করতে নাও পারে। যারা তাকে প্রার্থী হিসেবে জিইয়ে রেখেছেন, আবুলের ভরসা এখন তারাই।

এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন সদ্য সাবেক কাউন্সিলর শরিফুর রহমান। তিনিও সেই নিন্ম আয়ের ভোটকে পুঁজি হিসেবে ধরলেও মডেল ক্লাসের ভোটারদের বড় একটি সার্পোট আছে তার পক্ষে। এবার দলের অন্য অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী মাঠে নেই। এ সুযোগটি শরিফের জন্য প্লাসপয়েন্ট হতে পারে। এছাড়া মেশিনের ভোটের অভিজ্ঞতা নিতে অনেক ভোটার কেন্দ্রে যাবেন এমনটাই আশা সবার। আর এমনটি হলে প্রার্থীর যোগ্যতার বিষয়টি সামনে চলে আসবে। এখানেও শরিফের অবস্থান ভালো হতে পারে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্বালয় থেকে দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী এ নেতা এবার দলের সমর্থনকে তার জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া বলেই মনে করছেন। সেটি কাজে লাগাতে পারবেন কিনা সেই সন্দেহ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি শরিফ। কারণ হিসেবে যা সামনে আসে তা হলো- তার নিজের নির্বাচিত ১১ নং সেক্টর এলাকার সোসাইটি বিরোধ তার জন্য বড়ই বেকায়দার। অন্য দিকে এ ওয়ার্ডে ভোটের বেশ কয়েকজন ‘মেকার’কে শরিফ এখনো শতভাগ নিজের করতে পারেননি।

অপর দিকে মাঠের ‘আল্টিমেট’ জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে থাকা বিএনপির প্রার্থী আফাজ উদ্দিন তার জন্য বড়ই বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। আফাজ এবং তার দলের ভোট এ ওয়ার্ডে বেশি আছে, এমন স্বীকারোক্তি খোদ সরকার দলের অনেকের। কিন্তু এ ভোট বেশির প্রভাবটা স্থানীয় কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও ভাবেই কাজ করবে না বলে নিশ্চিত করে বলা যায়। এর বাইরে বিএনপির এ প্রার্থীর নির্বাচনী অনভিজ্ঞতা এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচন উঠানো বা মাঠের ভোট পক্ষে নেওয়ার মতো ‘ক্যাপাসিটি’ও নেই তার। এমন মত উঠে আসছে তার দলীয় লোকজনের মুখে। ব্যাক্তি হিসেবে শরিফের সাথে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা আফাজের কতটা আছে, তা কেবল ভোটের পরই বলা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণ ভোটাররা এ পার্থক্যটি শেষ পর্যন্ত কাজে লাগাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদি এমন হয় তাহলে শরিফের পালে হাওয়া লাগতেই পারে। কিন্তু দলের ‘অন্ধ’ ভোটের প্রভাব আফাজ কেন্দ্রিক তুমুল ভাবে গড়ে উঠলে জয়ের মালা তার গলায় গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শরীফ,উত্তর সিটি,আবুল,নির্বাচন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close