নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ জানুয়ারি, ২০২০

ডিএনসিসি ৫১ নং ওয়ার্ড

‘বৈধ’ শরিফের সামনে ঝামেলা কম

রাজধানী উত্তরার ৫১ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শরিফুর রহমানকে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন কতৃক মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে এ প্রার্থীর প্রার্থীতা বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। প্রার্থীতা বৈধ হওয়ায় এ প্রার্থীর নির্বাচনী মাঠে নামতে আর কোনও বাধা থাকলো না। এছাড়া উত্তরার অধিকাংশ ওয়ার্ড বিদ্রোহী প্রার্থী দ্বারা আক্রান্ত থাকলেও এ ওয়ার্ডে ঝামেলা একেবারে নেই বললে চলে। কারণ হিসেবে জানা যায়, এ ওয়ার্ডে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছিলেন স্থানীয় অনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত নমিনেশন দেওয়া হয় বর্তমান কাউন্সিলর শরিফুর রহমানকে। নিজের মনোনয়ন প্রাপ্তি নিশ্চিত না হওয়ায় প্রবীন এ নেতা বিদ্রোহীর খাতায়ও নাম লেখাননি।

এর বাইরে আরো যারা বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন, তারা অনেকেই শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন না বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। বিশেষ করে গত নির্বাচনের রানার-আপ প্রার্থী যুবলীগ নেতা মামুন সরকার দলীয় নমিনেশন না নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকতে চান না বলে তার ঘনিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে নির্বাচন বিষয়ে তার অবস্থান জানার জন্য একাধিকবার ফোন করেও মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

আওয়ামী লীগের হয়ে এ ওয়ার্ডে প্রভাব রাখতে পারেন এমন একজন প্রার্থী হচ্ছেন, সাবেক ইউপি মেম্বার আবুল হোসেন। তিনিও বিদ্রোহী হিসেবে কমিশনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তার মনোনয়নপত্রও বৈধ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন মাঠে থাকবেন কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে বর্তমান কাউন্সিলরের বিরুদ্ধ একটি পক্ষ শেষ পর্যন্ত আবুল মেম্বারকে ভোটের মাঠে রাখার চেষ্টা করতে পারে।

এ বিষয়ে আবুল মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও মাঠে থাকার পক্ষে কথা বলছেন। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চাই, আপনাদের দোয়া থাকলে। স্থানীয় এমপির সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি ‘হ্যা’ সূচক জবাব দেন। প্রার্থী হিসেবে তিনি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকলেও থানা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ কিন্তু তাকে সঙ্গ দিবে না বলে জানা যায়। বিশেষভাবে প্রচার আছে উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতা শরীফের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে থাকবেন।

আওয়ামী লীগের অন্য প্রার্থী শরিফের জন্য ঝামেলার না হলেও তার জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠতে পারে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির প্রার্থী। পশ্চিম থানা বিএনপির আহবায়ক আফাজ উদ্দিন এখানে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করছেন। তার মনোনয়নও বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। তবে, তার জন্য পথে কাঁটা হিসেবে দেখা দিয়েছে দলের অপর প্রার্থী মোস্তফা কামাল হৃদয়। তিনি সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সফিউল বারী বাবু সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকতে চান। এছাড়া উত্তরা বিএনপির বড় একটি অংশ আফাজ উদ্দিনের বিপক্ষে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে ইতোমধ্যে উঠান বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন। তাছাড় এ থানার বিএনপির উল্লেখযোগ্য নেতারাও মোস্তফার পক্ষে মাঠে নামবে বলে শোনা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আফাজ উদ্দিন যদি এ বিরোধ মিটিয়ে না উঠতে পারেন তাহলে নির্বাচনে মাঠে থাকাই তার জন্য দায় হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা।

আফাজ উদ্দিন ও মোস্তফার এমন দ্বিমূখীতায় নির্বাচন মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ শরিফুর রহমান। এ কারণে আগামী ১০ জানুয়ারির পর নির্বাচনী মাঠে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই থাকতে পারেন শরিফ। এমনই মত উঠে এসেছে স্থানীয় রাজনৈতিকদের মুখ থেকে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ডিএনসিসি,শরিফ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close