নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ নভেম্বর, ২০১৯

স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলন আজ

তিন বছর মেয়াদের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলন সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ।শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলন উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৈরি করা হয়েছে নৌকাসদৃশ মঞ্চ। মঞ্চের পেছনের পাশে দেখানো হবে আওয়ামী সরকারের বিগত ১১ বছরের উন্নয়ন।

সম্মেলনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন। তিনি বলেন, জাতীয় সম্মেলনের শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অতিথিদের দাওয়াত দেওয়া ও মঞ্চ সাজানোর কাজও শেষ। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে। তবে ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সদ্য সংগঠন থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত মোল্লা আবু কাওছার ও পংকজ দেবনাথকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাউন্সিল, তাই এবার পদপ্রত্যাশী নেতাও অনেক বেশি। ফলে কেন্দ্রীয় কমিটির আকার বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। প্রধান দুই পদে প্রার্থী এক ডজনের বেশি।

সম্মেলনকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডির দলের সভানেত্রীর কার্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় শোভা পাচ্ছে ব্যানার আর ফেস্টুন।

নির্মল রঞ্জন গুহ বলেছেন, এবারের সম্মেলনে ১ হাজার ৯৭৫ জন কাউন্সিলর এবং প্রায় ১৮ হাজার ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও অতিথি থাকবেন প্রায় ১৫ হাজার। নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ১৩টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নেতৃত্ব পাওয়ার পর কেউ যদি ফের ভুল করে তার দায় সংগঠন নেবে না। তার খেসারত তাকেই দিতে হবে। সংগঠন যে ইমেজ সংকটে ছিল তা আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি, কারণ যাদের নামে অভিযোগ, তারা সম্মেলন থেকে বিরত আছেন।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মেসবাহউদ্দিন সাচ্চু বলেন, ১০১ সদস্যের কমিটিকে বাড়িয়ে আমরা ১৫১ করতে যাচ্ছি। এই প্রস্তাব আমরা সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে উত্থাপন করব। কাউন্সিলের ভোটে পাস হলে এটি সংশোধন করা হবে।

এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন। ঢাকা উত্তরে সভাপতি পদে ১১, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর দক্ষিণে সভাপতি পদে ২৪ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২৮ জন প্রার্থী ছিলেন।

তবে এখনো এ দুই ইউনিটের নতুন নেতৃত্বে নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনের শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মহানগরের কমিটি ঘোষণা করবেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের তৎকালীন সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনকে আহ্বায়ক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রথম কমিটি হয়। পরে ২০০২ সালে প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন বাহাউদ্দিন নাছিম, সাধারণ সম্পাদক হন পঙ্কজ দেবনাথ। সর্বশেষ ২০১২ সালে ১১ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পান মোল্লা আবু কাওছার। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান পঙ্কজ দেবনাথ।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জাতীয় সম্মেলন,আ.লীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ,কেন্দ্রীয় কমিটি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close