প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
আবরার হত্যায় সম্পৃক্ততা
অমিতকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
আবরার ফাহাদকে হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘যোগাযোগের প্রমাণ পেয়ে’ বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা অমিত সাহাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ছিলেন।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে তার নাম আসার পরও মামলায় তার নাম না থাকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। পরে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সবুজবাগে আত্মীয়র বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনসারী তার জামিন নাকচ করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই যে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা সংগঠনটির তদন্তে উঠে এলে ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
সোমবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অমিতকেও বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে এই তথ্য উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথোপকথনের মাধ্যমে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। এ কারণে অমিতকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে গত রোববার রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়ে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়, সেই কক্ষেরই আবাসিক ছাত্র অমিত। সেদিন আবরারকে ওই কক্ষে ডেকে নেওয়ার আগে অমিত মেসেঞ্জারে আবরারের খোঁজ করেন তার এক সহপাঠীর কাছে, যার স্ক্রিনশট পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
পিডিএসও/হেলাল