গাজী শাহনেওয়াজ

  ১১ অক্টোবর, ২০১৯

আওয়ামী লীগের নজর ৩ সিটি নির্বাচনে

নতুন বছরের প্রথম ভাগে অর্থাৎ মার্চে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি)। এ নির্বাচন উপলক্ষে কমিশন এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে চিঠি পাঠায়। আর এইচএসসি পরীক্ষার পর চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন করবে ইসি। এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। আর এ নির্বাচন ঘিরে মেয়র প্রার্থী নির্বাচনেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে দলটি।

মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে থাকা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আগামী নির্বাচনে গতবারের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় দলটি। মেয়র পদে জনপ্রিয়, গ্রহণযোগ্য এবং জয়লাভে সক্ষম পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ ইমেজের প্রার্থী খুঁজতে দলের পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই জরিপের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বেছে নেবেন বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। অন্যদিকে এই তিন সিটি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামও আলোচনায় উঠে আসছে। বর্তমান মেয়রদের পাশাপাশি আরো কয়েকজন নেতা মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন। তবে উপযুক্ত ও যোগ্য প্রার্থীদেরই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একই দিনে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চসিক নির্বাচনের মেয়াদ কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ হচ্ছে। নির্বাচন ও নতুন মেয়রদের শপথ শেষে একই বছরের ১৪ মে ঢাকা উত্তর ও ১৭ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম বৈঠক হয়। তবে মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের দায়িত্ব নিতে দেরি হয়। এ কারণে সেখানকার প্রথম বৈঠক কিছুটা দেরিতে ৬ আগস্ট হয়েছিল। বিদ্যমান সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে পাঁচ বছরের নির্ধারিত মেয়াদ শুরু হয়। আর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। এই হিসাবে চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর ঢাকা উত্তর ও ২০ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ এবং আগামী বছরের ৯ ফেরুয়ারি চসিক নির্বাচনের উপযোগী হবে। অর্থাৎ আগামী নভেম্বরের মধ্যভাগ থেকে আগামী বছরের মে মাসের শেষভাগে ঢাকার দুই সিটি এবং আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে চসিক নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

এই অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ ধরেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানে আরো কিছুটা সময় পাওয়া যাবে। সেটা এপ্রিল নাগাদ হতে পারে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার ওপর।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিন সিটি নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে প্রার্থী যাকেই করা হোক না কেন, তফসিল ঘোষণার পর দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে। একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে তিন সিটির ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনের বেলায়ও।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি দলীয় ফোরামের এক সভায় জরিপের মাধ্যমে সিটি নির্বাচনের প্রার্থী বেছে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কর্মীবান্ধব ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থীরাই মনোনয়ন পাবেন।

ঢাকা উত্তর : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম তার দায়িত্ব পালনে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে খুব বেশি সময় হাতে পাননি। ২০১৫ সালে নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর নতুন প্রার্থী হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন দলটি। যিনি চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন। গত ছয় মাস ধরে দায়িত্ব পালন করা এই মেয়র বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে মাত্র এক বছরের কিছু বেশি সময় পাচ্ছেন। এ কারণে আরো এক মেয়াদে তাকেই প্রার্থী করার বিষয়ে মোটামুটি একমত দলীয় নীতিনির্ধারকরা।

তবে স্বল্প সময়ের দায়িত্বকালে মহানগরীর ডেঙ্গু পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি নিয়ে নগরবাসীর কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। যদিও ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ আমদানিসহ বিষয়টি সিটি করপোরেশনের নিজ দায়িত্বে নিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সাফল্যের দেখাও পেয়েছেন। সেই সঙ্গে ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রটি আগেকার মতো কয়েকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রথা ভেঙে উন্মুক্ত করে দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা নেন তিনি। নগরীতে সাম্প্রতিক কয়েকটি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এছাড়া উত্তর সিটিকে আলোকিত করতে ৪২ হাজার এলইডি লাইট স্থাপন ও ২৭টি পার্ককে অত্যাধুনিক মানে গড়ে তোলাকে তার আগামীদিনের পরিকল্পনা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, তার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আর প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন আগামী নির্বাচনে দল থেকে কাকে প্রার্থী করা হবে। এক্ষেত্রে তিনি যদি ভালো মনে করেন, তবে তাকেই (আতিকুল) প্রার্থী করবেন বলে তার বিশ্বাস।

ছয় মাসের মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে উত্তর সিটির উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে আগামীদিনের চলার পথ নির্ধারণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কারণ মানুষ অভিজ্ঞতা থেকেই শেখে। তবে একটা কথা বলতে পারেন, শতভাগ সততা নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করছি। দল ও প্রধানমন্ত্রী তার এই কাজের মূল্যায়ন করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই মেয়র।

বর্তমান মেয়রের পাশাপাশি ঢাকা উত্তরের নির্বাচনে আরো কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও আলোচনায় উঠে আসছে। আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। সাবেক মন্ত্রী মায়া ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হলেও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। এছাড়া হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ‘মানবিক ঢাকা সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা আদম তমিজি হকও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। উত্তর সিটির উপনির্বাচনেও মনোনয়ন চান তিনি।

অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রতিবেদককে বলেছেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই মেনে নেবেন তিনি। নেত্রী তাকে যে দায়িত্ব দেবেন, সেটা সর্বাত্মকভাবে পালনে প্রস্তুতও রয়েছেন তিনি।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, কর্মীদের আকাক্সক্ষা তাকে মেয়র প্রার্থী করা হোক। এখন প্রধানমন্ত্রী ও দল চাইলেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন দায়িত্ব পালনকালে কিছুটা বিতর্ক কুড়িয়েছেন। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও বেহাল রাস্তাঘাটের সংস্কারসহ নগরবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে তার ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তার ব্যর্থতাও সমালোচনার জš§ দিয়েছে।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে দলের কাছে আবারও মনোনয়ন চাইবেন তিনি। তবে নির্বাচনের জন্য যেহেতেু অনেকটা সময় বাকি আছে, সেহেতু এখন এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও চান না তিনি।

বর্তমান মেয়রের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আরো কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও আলোচনায় রয়েছে। আলোচনার শীর্ষে আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। দলীয় মনোনয়ন পেতে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে না নামলেও তারা দুজনই দলের শীর্ষমহলের নজরে আসার চেষ্টা করছেন।

ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন তিনি। তবে সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর। তিনি যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই প্রার্থী করবেন। আর শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন তিনি।

শাহে আলম মুরাদ বলেন, তার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। নেত্রী (শেখ হাসিনা) ও দলের নীতিনির্ধারণী মহল ভালো মনে করলে তাকে যে দায়িত্ব দেবেন, সেটাই সর্বাত্মকভাবে পালনের চেষ্টা করবেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা রয়েছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত এই মহানগরীতে। বিশেষ করে নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন- এমন অভিযোগ অনেকেরই। তারই ব্যর্থতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নেওয়া প্রকল্প সরকারের অনুমোদনই পায়নি, পেয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) গৃহীত প্রকল্প। আবার নগরবাসীর সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে ব্যর্থতার পাশাপাশি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বেহাল দশার মুখে এসব সড়কের সংস্কার করতেও ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ নিয়ে নগরবাসীর তোপের মুখে রয়েছেন এই মেয়র।

অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, বরং তার দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো শতভাগ বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টিও তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ছিল। তবে সরকার মনে করেছে চউক দিয়েই কাজটি ভালোভাবে করা যেতে পারে। এ কারণে তাদের দিয়েই জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে সরকার। এই প্রকল্পের এখতিয়ার যেহেতু চউকের, সেহেতু এর ভালোমন্দের দায়-দায়িত্বও তাদেরই।

আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাইবেন তিনি। আর দল প্রার্থী করলে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতও রয়েছেন তিনি।

বর্তমান মেয়র ছাড়াও আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতা বাগাতে তৎপর রয়েছেন কমপক্ষে তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থী। আলোচনায় রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, কোষাধ্যক্ষ ও চউকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এবং সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর স্ত্রী ও মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দীনের নাম।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের রূপকার ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর দায়িত্ব পালনকালে বলতে গেলে তার ছায়াসঙ্গী হিসেবেই ছিলেন তিনি। এবার দল যদি তাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেয়, তাহলে তার সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি।

আবদুচ ছালাম বলেন, গত নির্বাচনেও মেয়র পদে দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। এবারও চাইবেন। তবে প্রাণপ্রিয় নেত্রী (শেখ হাসিনা) যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই প্রার্থী করবেন বলেই তার বিশ্বাস। তবে তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন সবাই মিলে তার পক্ষেই কাজ করবেন।

আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী হাসিনা মহিউদ্দিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে সম্মত হননি।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
৩ সিটি নির্বাচন,আওয়ামী লীগ,ইসি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close